নিজস্ব প্রতিবেদন : শনিবার মেয়ো রোডে অমিত শাহের সভা ঘিরে জমজমাট চিত্রনাট্য। অমিত শাহের সভার নিরাপত্তায় বিজেপি ড্রোন ব্যবহার করবে বলে শোনা গিয়েছিল দলীয় সূত্রে। কিন্তু এখন জানা যাচ্ছে, শনিবারের সভায় নজরদারি চালাতে কোনও ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে না। তার বদলে সিসিটিভি ব্যবহারের ভাবনাচিন্তা চলছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

লক্ষ্য ২০১৯। টার্গেট বাংলা। ঘন ঘন তাই রাজ্য সফরে আসছেন বিজেপি সভাপতি। শনিবার ফের কলকাতায় অমিত শাহের সভা। রানি রাসমণি রোডে সভার অনুমতি বাতিলের পর সভাস্থল হিসেবে মেয়ো রোডকে বেছে নিয়েছে রাজ্য বিজেপি। সভায় যোগ দিতে এদিন রাতেই রাজ্যে পা রাখছেন বিজেপির চাণক্য। তার আগে এখন চূড়ান্ত তত্পরতা পদ্মশিবিরে। চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।


আরও পড়ুন, নাতনির সামনেই দিনের পর দিন বউমাকে 'ধর্ষণ'-এর চেষ্টা শ্বশুরের, পরিণতি মর্মান্তিক


মেদিনীপুরে প্যান্ডেল বিভ্রাটের পর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তোপের মুখে পড়ে রাজ্য বিজেপি। এবার মেয়ো রোডের সভার প্রস্তুতিতে তাই কোনও ফাঁক রাখতে নারাজ গেরুয়া শিবির। এমনকি সভার প্রস্তুতি থেকে নিরাপত্তা, সব বিষয়েই প্রশাসনের উপরও ভরসা করছে না বিজেপি। অমিত শাহের সভার নিরাপত্তার সম্পূর্ণ দায়িত্ব নিজেদের কাঁধেই তুলে নিয়েছে তারা।


জেড প্লাস ক্যাটেগরির নিরাপত্তা পান অমিত শাহ। আগামিকালের সভার সম্পূর্ণ নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিজেপি আইপিএস সেলকে। সঙ্গে থাকছে আরএসএস বা বজরং দলের ৫৫০ জন স্বেচ্ছাসেবক। ওয়াকিটকির মাধ্যমে সভার প্রতি মুহূর্তে কড়া নজরদারি চালাবেন তাঁরা। পাশাপাশি শোনা যাচ্ছে, ড্রোন ব্যবহারের বদলে ব্যবহার করা হবে সিসিটিভি ক্যামেরা। সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে সভাস্থলে প্রতিটি কোণায় চলবে তীক্ষ্ণ নজরদারি।


আরও পড়ুন, নিজের তৈরি শববাহী খাটিয়াতেই শেষযাত্রা আত্মঘাতী বৃদ্ধের


মেদিনীপুরে মোদীর সভায় লোহার কাঠামো ভেঙে পড়ায় বিতর্ক তৈরি হয়। আহত হন কমপক্ষে ৯০ জন। এবার তাই সভামঞ্চ তৈরিতে পূর্ত দফতরের উপরও ভরসা করেনি বিজেপি। দলের সিভিল ইঞ্জিনিয়ার সদস্যদের তৈরি করা নকশা অনুযায়ী-ই তৈরি হচ্ছে মঞ্চ। নিরাপত্তার স্বার্থে মঞ্চের দিকেও পরিবর্তন করা হয়েছে। পার্কস্ট্রিটের দিকের বদলে গান্ধীমূর্তির পাশে তৈরি হচ্ছে মঞ্চ। একদিকে প্যান্ডেল বিভ্রাটের জুজু, অন্যদিকে প্রশাসনকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে দলীয় নিরাপত্তায় সভার চ্যালেঞ্জ, সবমিলিয়ে শনিবার দুপুরে বড় পরীক্ষার সামনে রাজ্য বিজেপি শিবির। এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহল মহল।