নিজস্ব প্রতিবেদন: দুর্গাপুজোকে (Durga Puja) স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কো (UNESCO)। বিশ্বের ঐতিহ্যশালী উৎসবের (Heritage) তালিকায় স্থান পেয়েছে বাঙালির  শারদোৎসবও। এই কৃতিত্ব কার? এবার আসরে নামল কেন্দ্রের মোদী সরকার (PM Narendra Modi)। কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি ও পর্যটনমন্ত্রী জি কিষান রেড্ডির টুইট, 'টানা ২ বছর ধরে সংস্কৃতি মন্ত্রকের পরিশ্রমের ফলেই দুর্গাপুজোকে স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কো। শুধুমাত্র বাংলার জন্য গর্বের মুহূর্ত নয়, দেশবাসী ও বিশ্বের হিন্দু সমাজ গর্বিত'। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সালটা ২০০১। বিভিন্ন দেশের একাধিক রাজ্যের উৎসব ও সংস্কৃতি নিয়ে সমীক্ষার কাজ শুরু করে ইউনেস্কো (UNESCO)। সেই সমীক্ষার ভিত্তিতে এবার বিশ্বের 'কালচার হেরিটেজ' তালিকায় জায়গা করে নিল বাংলার দুর্গোপুজো। চলতি মাসের ১৩ তারিখ থেকে প্যারিসে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ইন্টারগভর্নমেন্ট কমিটির ষষ্ঠদশ অধিবেশন। চলবে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত। সেই অধিবেশনেই ‘কলকাতার দুর্গাপুজো’-কে এই স্বীকৃতি দেওয়া হল। এর আগে ২০১৮ সালে কুম্ভমেলাকে হেরিটেজ তকমা দিয়েছিল ইউনেস্কো।


কলকাতায় এখন ভোটের হাওয়া। পুরভোটের প্রচারে 'ইউনেস্কো স্বীকৃতি'কে হাতিয়ার করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বেহালায় এক জনসভায় তিনি বলেন, 'যে বিজেপির লোকেরা বলত মমতাজি বাংলায় দুর্গাপুজো (Durga Puja) করতে দেন না। আজ সেই দুর্গাপুজো বিশ্বসেরা। UNESCO-র স্বীকৃতি পেয়েছে'। এমনকী, সমালোচকদের মুখে 'চুন-কালী' পড়েছে বলেও কটাক্ষ করেন মুখ্যমন্ত্রী। টুইটে অমিত শাহ- বিজেপি নেতাকে খোঁচা দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। 


 




এবার পাল্টা টুইট করলেন কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি ও পর্যটনমন্ত্রী  জি কিষান রেড্ডির (Union Minister of Culture and Tourism  G. Kishan Reddy )। স্রেফ 'সংস্কৃতি মন্ত্রকের পরিশ্রম'-ই নয়, দুর্গাপুজোর ইউনেস্কো স্বীকৃতির জন্য যাবতীয় কৃতিত্ব দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেই।


 




 



 



ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক চ্যানেল 'মেগা ফেস্টিভ্যাল' হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল আগেই। চলতি বছরের অগাস্ট দুর্গাপুজোর জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে তৎপর হয় রাজ্য সরকারও। কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের মাধ্যমে আবেদন করা হয় রাষ্ট্রপুঞ্জের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক বিভাগে। সেই আবেদনের মূল্যায়ন করেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা। সেই বিচারেই এ বার 'হেরিটেজ' তকমা পেল পশ্চিমবঙ্গের শারদোৎসব।