PM Awas Yojana: তিন জেলায় প্রকল্পে অসঙ্গতি! রাজ্যকে আবাস যোজনার বরাদ্দ নিয়ে চিঠি কেন্দ্রের
চলতি বছরে মার্চে আবাস যোজনার দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে রাজ্যে এসেছিল কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল। গ্রামে গ্রামে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন সেই প্রতিনিধিদলের সদস্যরা। সঙ্গে ছিলেন জেলাশাসক, বিডিও-রা। এরপর যে রিপোর্ট জমা পড়েছিল, সেই রিপোর্টে ভিত্তিতে এ রাজ্যে আবাস যোজনার বরাদ্দ বন্ধ করে দেয় কেন্দ্র।
সুতপা সেন: তিন জেলায় প্রকল্পে অসঙ্গতি! আবাস যোজনার বরাদ্দ নিয়ে এবার রাজ্যকে চিঠি দিল কেন্দ্র। শুধু তাই নয়, ১৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হল নবান্নকে। সূত্রের খবর তেমনই।
আরও পড়ুন: TMC BJP Clash: সমবায়ের অনুষ্ঠানে তুমুল সংঘর্ষ, একে অপরের পিঠে চেয়ার ভাঙলেন তৃণমূল-বিজেপি কর্মীরা
ব্যবধান আট মাসের। চলতি বছরে মার্চে আবাস যোজনার দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে রাজ্যে এসেছিল কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল। গ্রামে গ্রামে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন সেই প্রতিনিধিদলের সদস্যরা। সঙ্গে ছিলেন জেলাশাসক, বিডিও-রা। এরপর যে রিপোর্ট জমা পড়েছিল, সেই রিপোর্টে ভিত্তিতে এ রাজ্যে আবাস যোজনার বরাদ্দ বন্ধ করে দেয় কেন্দ্র।
কী ছিল সেই রিপোর্টে? কেনইবা বন্ধ করে দেওয়া হল বরাদ্দ? কেন্দ্রের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী, তখন পাল্টা চিঠি এল নবান্নে। সূত্রে খবর, নদিয়া, কালিম্পং, দক্ষিণ ২৪ পরগনা প্রকল্পে অসঙ্গতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে চিঠিতে। বাদ যায়নি দুই মেদিনীপুর ও পূর্ব বর্ধমানও। কেন্দ্রের ব্য়াখ্যায় অবশ্য সন্তুষ্ট নয় রাজ্য। তাদের বক্তব্য, ইচ্ছা করে টাকা আটকে রাখা হয়েছে।
কী প্রতিক্রিয়া রাজনৈতিক মহলে? রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের দাবি, 'শুধু তিনটে জেলার অসঙ্গতি নয়, অসঙ্গতি সর্বত্র আছে। প্রধানমন্ত্রীর যে স্বপ্নের পরিকল্পনা, ভারতবর্ষের মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিল, যে প্রত্য়েক মানুষের মাথার উপরে পাকা বাড়ির ছাদ থাকবে। আজকে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়িত করা যাচ্ছে না, তৃণমূল কংগ্রেসের সীমাহীন দুর্নীতি, এবং হিসেব বর্হিভূত খরচ, এই প্রকল্পের টাকা অন্য প্রকল্পের নিয়ে যাওয়া কারণে'।
সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর মতে, 'টাকা দিতে হবে, যাঁর প্রাপ্য,তাঁকে দিতে হবে। সেটাতে যাঁরা তালগোল পাকাবে, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক। মুখ্যমন্ত্রী বলছেন গর্ব করে, ১১ লক্ষ নাম আমি বাতিল করে দিয়েছি। তারমানে ১১ লক্ষ নাম আগে ঢোকানো হয়েছিল, সেটা বাতিলযোগ্য। কে ঢোকালো সেটা? সরকারের লোক, তৃণমূলের লোক না পঞ্চায়েতের প্রধান? তাঁদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হল, তাতে রাজ্য সরকারেরও আগ্রহ নেই, দিল্লির সরকারেরও আগ্রহ নেই। যে টাকাটা মেরেছে, তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিক। সেটা না নিয়ে বিজেপি এমনভাবে করছে, যাতে তৃণমূলের সুবিধা হয়'।
এদিকে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগেই অনড় তৃণমূল। দলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, 'এই বাংলা বিদ্বেষী, বাঙালি বিদ্বেষী বিজেপি বাংলাকে বঞ্চনা করার জন্য প্রকল্প বানায় এবং সেটা নিয়ে গর্ববোধ করে। ১১ লক্ষ ৩৬ হাজার মানুষের বাড়ির টাকা, সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকা, প্রথম কিস্তি, সেই টাকা আটকে রেখে দিয়েছেন। প্রায় সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা, একশোর দিনে টাকা তারা আটকে রেখে দিয়েছেন। যত ২৪-র লোকসভা ভোট এগিয়ে আসছে, তৃণমূলের সঙ্গে রাজনীতি পেরে না ওঠে প্রতিহিংসাপরায়ণতার কারণে বাংলার আর্থিকভাবে বঞ্চনা করার চেষ্টা করছে'।
আরও পড়ুন: World Cup 2023: টিম ইন্ডিয়াকে বিশ্বকাপে সামলে রেখেছিল কলকাতার এই হাসপাতাল!
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)