নিজস্ব প্রতিবেদন: নাগরকিত্ব সংশোধনী আইন ও নাগরিকপঞ্জি নিয়ে নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহের মধ্যে মতান্তর স্পষ্ট। এমনটাই দাবি করলেন ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ সিং বাঘেল। তাঁর কথায়,''NRC ও CAA নিয়ে সংঘাত তৈরি হয়েছে মোদী ও শাহের মধ্যে। তার ফল ভুগতে হচ্ছে দেশকে।''        


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে বাঘেল বলেন, ''অমিত শাহ দাবি করছেন, সিএএ, এনপিআর হচ্ছে এনআরসি ধাপ। প্রধানমন্ত্রী আবার বলছেন, এনআরসি কার্যকর করা হবে না। সত্যিটা কে বলেছেন, মিথ্যাটাই বা কে? দুই নেতার মধ্যে সংঘাত তৈরি হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। এজন্য ভুক্তভোগী হচ্ছে গোটা দেশ।''           .


নির্বাচনী সভা তো বটেই, সংসদেও অমিত শাহ ঘোষণা করেছিলেন, দেশজুড়ে এনআরসি করবে বিজেপি সরকার। এরপর সংসদে পাশ হয় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের পর তা আইনে পরিণত হয়। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ও নাগরিকপঞ্জির বিরোধিতায় উত্তপ্ত হয়েছে গোটা দেশ। ক্ষোভ সামাল দিতে রামলীলা ময়দান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন,''১৩০ কোটি দেশবাসীকে আশ্বস্ত করতে চাই, ২০১৪ সালে আমার সরকার আসার পর থেকে এনআরসি নিয়ে কোনও আলোচনাই হয়নি। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে অসমে এনআরসি হয়েছে। '' তিনি আরও বলেন,''মিথ্যা রটানো হচ্ছে। অনেক নেতা টিভি চ্যানেলে দাবি করছেন, গোটা দেশে এনআরসি করতে বিশাল খরচ বইতে হবে। কিন্তু যে জিনিস নেই, তার জন্য কেন মগজ লাগাচ্ছেন?'' 


কে ঠিক বলছেন? তারপর অমিত শাহের গলায় শোনা যায় উল্টোসুর। প্রধানমন্ত্রীকে সমর্থন করে শাহ বলেছিলেন,''প্রধানমন্ত্রীই ঠিকই বলেছেন। গোটা দেশে এনআরসি নিয়ে মন্ত্রিসভা বা সংসদে কোনও আলোচনাই হয়নি।''  


আরও পড়ুন- ‘সাভারকরকে ভারতরত্ন কেন, অন্তত দু’দিন সেলুলার জেলে থাকলেই বুঝে যাবেন বিরোধীরা’