নিজস্ব প্রতিবেদন: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সিএএ বিরোধী আন্দোলনে একমঞ্চে টানতে চেয়ে চিঠি দিয়েছেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। বাংলায় তৃণমূলের প্রবল বিরোধী সিপিএম। তখন তাদের দলেরই মুখ্যমন্ত্রীর চিঠিতে অস্বস্তিতে আলমুদ্দিন। তাহলে কি এটা সেই বেঙ্গল বনাম কেরল? এর নেপথ্যে রাজনৈতিক সমীকরণ নেই বলে দাবি করলেন মহম্মদ সেলিম। তাঁর কথায়,''কেরলের মুখ্যমন্ত্রী চিঠি দিয়েছেন যে সমস্ত রাজ্য সরকার সিএএ বিরোধী। এটা প্রেমালাপের প্রেমপত্র নয়। কয়েকটি রাজ্য সাড়া দিয়েছে। কেরলের বিধানসভায় বিজেপির এক বিধায়ককে বাদ দিয়ে সর্বসম্মতিক্রমে সিএএ বাতিলের প্রস্তাব পাস হয়েছে। ওই আইন সংবিধানের মূলনীতির বিরোধী।''


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কিন্তু তা বলে মমতাকে চিঠি? সিপিএমের পলিটব্যুরোর সদস্য বলেন,''সূর্যকান্ত মিশ্র তো বলেছেন, তৃণমূল বিধানসভায় এমন একটা প্রস্তাব পাস করুক। পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীও দেখছেন। এটা দুই ব্যক্তির ব্যাপার নয়। আমাদের রাজ্য সরকারে ধোঁয়াশা তৈরি করেছেন। লোক দেখানোর চেষ্টা করছেন মমতা, সেটা স্পষ্ট হবে।''



৮ জানুয়ারি ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বামেরা। সে কথা মনে করিয়ে কার্যত তৃণমূলের সমর্থন চেয়েছেন সেলিম। বলেন,''তৃণমূলকে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে। তারা যদি সত‍্যিই এন‌আরসি বিরোধী হয় তা স্পষ্ট করুক ৮ তারিখ।''


সেলিমের অভিযোগ, একদিকে এনপিআরের ট্রেনিং করাচ্ছে মমতার সরকার, বিডিওদের নোটিসি দিয়েছে জনগণনা। এটাই তো লুকোচুরি। ভাবের ঘরে চুর করছেন। অতীতেও ওনার কোনও সুর শোনা যায়নি। তৃণমূলের দু'রকম ভূমিকা আমি দেখেছি।  রাজনৈতিক অবস্থান না থাকলে এই ধরনের ডিগবাজি খেতে হয়।


শুক্রবার ১১টি অবিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন পিনারাই বিজয়ন। চিঠি তিনি লিখেছেন,''গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা রক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করাই সময়ের দাবি। পারস্পরিক মতানৈক্য সরিয়ে সমাজের বিভিন্নস্তরের মানুষকে এক হতে হবে গণতন্ত্র বাঁচাতে। আমরা নিশ্চিত, দেশের বৈচিত্র্যর মধ্যে ঐক্য আরও শক্তিশালী হবে। এনআরসি-এর আশঙ্কায় এনপিআর সংক্রান্ত সমস্ত কাজ রাজ্যে স্থগিত করে দিয়েছে কেরল সরকার।''৩১ ডিসেম্বর কেরলের বিধানসভায় সর্বসম্মতিভাবে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় প্রস্তাব পাস হয়েছে। সে কথা উল্লেখ করে পশ্চিমবঙ্গকে একই পদক্ষেপ করার আহ্বান করেছেন পিনারাই বিজয়ন। 


পরে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র মন্তব্য করেন, ''মুখ‍্যমন্ত্রীর পুরো কথাটা খুলে বলুন। সদিচ্ছা থাকলে বিধানসভায় জরুরি সভা ডেকে সব বাতিলের প্রস্তাব দিন। আপনার সবচেয়ে বড় পরীক্ষা 8 তারিখ। সেদিন আপনার ভূমিকা কী হয়, আমরা দেখব। ধর্মঘট ভাঙার চেষ্টা হলে আপনার বিশ্বাসযোগ্যতা জানতে পারব। মুখ‍্যমন্ত্রী ওই দিন প্রমাণ হবে আপনি কোন পক্ষে!''


আরও পড়ুন- ছবি: অসতর্ক! বর্ধমান স্টেশনে সাবধানতা ছাড়াই মেরামতি, কাঠগড়ায় রেল