নিজস্ব প্রতিবেদন: NRC, CAA নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরই জাতীয়স্তরে সিএএ বিরোধিতায় তাঁর সঙ্গে একমঞ্চে যেতে রাজি সিপিএম। মঙ্গলবার খোলাখুলি বলে দিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। সোজা কথায়, রাজ্যে আলাদা আলাদা আন্দোলন হলেও সিএএ, এনআরসি ইস্যুতে জাতীয়স্তরে তৃণমূলের সঙ্গে একমঞ্চে বসতে আপত্তি নেই সীতারামের।          


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কলকাতায় এদিন সীতারাম ইয়েচুরি বলেন, ''এনআরসি-সিএএ-র প্রতিবাদে একজোট হয়েছে বিরোধীরা। দেশের স্বার্থে একজোট হতে সমস্যা কেন হবে!'' মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও তো একই ইস্যুতে আন্দোলন করছেন। সিএএ-এনআরসি নিয়ে ছুৎমার্গ রাখতে নারাজ ইয়েচুরি। তাঁর কথায়,  ''বিরোধীরা বৈঠক ডেকেছিল, উনি গেলেন না। রাজ্যে আমাদের সঙ্গে সরাসরি সংঘাত। কিন্তু জাতীয়স্তরে একজোট হতে আপত্তি নেই। মোদীর সঙ্গে বৈঠক করে এনআরসি বিরোধী মঞ্চে চলে গেলেন। তৃণমূল নেতারাও বলতে পারবেন না উনি কী চান। আগে ওনাকে অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে।'' বাম-বিজেপি যোগের অভিযোগ করেছেন মমতা। সিপিএমের সাধারণ সম্পাদকের মন্তব্য, কেন বলছেন, কী বলছেন সেটা উনিই বলতে পারবেন।  


রাজ্যে এনআরসি ও সিএএ বিরোধী আন্দোলনে তেড়েফুঁড়ে নেমেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতিদিনই তাঁর একটা না একটা কর্মসূচি লেগে রয়েছে। ময়দানে নেমেছে বামেরাও। কিন্তু আপাতত কিছুটা হলেও এগিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বাভাবিকভাবে আন্দোলনের পরিসর দখলের লড়াই তুঙ্গে। সেই নিয়মেই বিজেপির সঙ্গে বামেদের যোগ তুলে ধরে নিশানা করেছেন তৃণমূল নেত্রী। পাল্টা আবার মমতার সঙ্গে মোদীর সেটিং বলে প্রচার করে চলেছেন বাম-কংগ্রেস নেতারা। এহেন প্রেক্ষাপটে জাতীয়স্তরে তৃণমূলকে নিলে কি রাজ্যে বামেদের অবস্থান কি প্রশ্নের মুখে পড়বে না? প্রশ্ন উঠছেই। অনেকেই মনে করছেন, এনআরসি ও সিএএ হতে চলেছে একুশের অন্যতম ইস্যু। এমন ইস্যুতে বিরোধীদের আন্দোলন জনমানসে সংশয় বা ধোঁয়াশা তৈরি করতে পারলে লাভ বিজেপির। কারণ, তখন দিলীপ ঘোষরা বলতে শুরু করবেন, এই তো তৃণমূল-বাম সব এক। রাজ্যে কুস্তি, দিল্লিতে দোস্তি।                                    


সোমবার এনআরসি ও সিএএ নিয়ে দিল্লিতে বৈঠকে বসেছিল বিরোধীরা। কংগ্রেসের নেতৃত্বে ওই বৈঠকে গরহাজির ছিল তৃণমূল-সহ সপা, বসপার মতো ৬টি আঞ্চলিক দল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত সপ্তাহেই বিধানসভায় বলে দিয়েছিলেন, বনধের নামে গুন্ডামি করেছে বাম-কংগ্রেস। তিনি থাকতে পারবেন না। কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীর  নেতৃত্বে বৈঠকে ছিলেন এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার, শরদ যাদব, সিপিএমের সীতারাম ইয়েচুরি, সিপিআইয়ের ডি রাজা। এর পাশাপাশি বৈঠকে উজ্জ্বল মুখ রাহুল গান্ধী, আহমেদ পটেল, গুলাম নবি আজাদ ও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। বিরোধী শিবিরের এমন ভগ্নদশা দেখে বিজেপি নেতা রবিশঙ্কর প্রসাদের কটাক্ষ করেছিলেন, বিরোধীদের ঐক্যের ছবিটা স্পষ্ট হয়ে গেল। 


আরও পড়ুন- ফেট্টি যারা পরছে তারা নাগরিকত্ব পাচ্ছে, যোগী ঠিক করেছে কারা বাদ যাবে: মমতা