ফেট্টি যারা পরছে তারা নাগরিকত্ব পাচ্ছে, যোগী ঠিক করেছে কারা বাদ যাবে: মমতা
NRC-CAA-NPR নিয়েও এদিন সুর চড়ান মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর প্রশ্ন, দেশের মানুষকে তাড়িয়ে কালো টাকার কারবারিদের নাগরিকত্ব দিতে চায় সরকার?
নিজস্ব প্রতিবেদন: রানি রাসমণিতে TMCP-র ধর্নামঞ্চে আরও একবার মোদী সরকারের বিরোধিতায় সরব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার অবশ্য তিনি টানা বক্তৃতা করেননি। বরং ছাত্রনেতাদেরই মঞ্চ ছেড়ে দিয়েছেন। ছাত্রদের বক্তব্যের ফাঁকে ফাঁকে এদিনও বিজেপিকে একহাত নেন। প্রশ্ন তুলেছেন, দেশের মানুষকে তাড়িয়ে কালো টাকার কারবারিদের নাগরিকত্ব দিতে চায় সরকার?
মোদী-মমতা বৈঠক নিয়ে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, এদিন সেই জল্পনায় আরও একবার জল ঢাললেন মুখ্যমন্ত্রী। স্পষ্ট করে দিলেন, অতিথি আপ্যায়নই বাংলার রীতি। তিনি বলেন, ''অসমে কী করল বাঙালিদের সঙ্গে! আমি বাঙালি-অবাঙালি করি না। আমাদের গনতন্ত্র শেখাচ্ছো। আমাদের লোকেদের কোথাও ঢুকতে দাওনি। আমরা অতিথি সন্মান করি। শত্রু দের সঙ্গে ও রাস্তায় দেখলে কথা বলি। আমায় মেরেছিল, আমি ক্ষমা করে দিয়েছি।''
NRC-CAA-NPR নিয়েও এদিন সুর চড়ান মুখ্যমন্ত্রী। দেশের মানুষকে তাড়িয়ে কালো টাকার কারবারিদের নাগরিকত্ব দিতে চায় সরকার? এদিন সরাসরি যোগীরাজ্যের দিকে আঙুল তুললেন মমতা। বলেন,''১৩০ কোটির নাগরিকত্ব চাই। শুধু ৩১ হাজার দিতে চাইছে কেন? সিএএ বিধি তৈরি হয়নি। যোগী ঠিক করেছে, কত জন বাদ যাবে। যারা ভান্ডারা দেয়, তারা এসে ঘরে ঘরে সার্ভে করছে। ফেট্টি পরে যারা ঘুরে বেড়ায় তাদের দিচ্ছে নাগরিকত্ব। বিজেপি তাবিজ দিলে নাগরিক বাকিরা নয়!''
কাশ্মীর, উত্তরপ্রদেশ, অসমে বাঙালি শ্রমিকদের হত্যার প্রসঙ্গ তুলে এদিন মমতার তোপ, রাজ্যে রাজ্যে বিভেদ তৈরির চেষ্টা দেশের জন্য মারাত্মক। তাঁর কথায়,''বাংলাকে ওরা বেশি টার্গেট করছে। এখানেও বাইরের লোকেরা কাজ করতে আসে। সবাই আমাদের ভাই বোন। কাশ্মীরে আমাদের ছেলেদের কী করলো? কাশ্মীরের লোকেরা এখানে কাজ করতে পারলে বাংলার লোকেরা কেন পারবে না? আপেল শ্রমিকদের কী অবস্থা? তাঁরা বাংলা ভাষায় কথা বলে এটা তাদের অপরাধ?''
দলের ছাত্র-আন্দোলনের পাশে খোদ মুখ্যমন্ত্রী। সেই মঞ্চ থেকে একদিকে যেমন লাগাতার কেন্দ্র-বিরোধী বার্তা দিচ্ছেন, তেমনই আবার রাজ্যে মোদী-বিরোধী ছাত্রআন্দোলনের মুখ হিসেবে তুলে আনছেন TMCP-র ধর্না কর্মসূচিকে।
আরও পড়ুন- মমতার সঙ্গে লড়াই অতীত, বঙ্গ বিজেপির অন্দরেই এখন 'তু তু ম্যায় ম্যায়'