মৌমিতা চক্রবর্তী: সংগঠনের 'ভাঁড়ে মা ভবানী'। কিন্তু সভা-সমাবেশে এখনও ভিড় জুটিয়ে তাক লাগাচ্ছে সিপিএম। লং মার্চেও লাল সংগঠন দেখিয়েছি পেশিশক্তি। এবার নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরোধিতায় রাজ্যে কোমর বেঁধে নামছে আলিমুদ্দিন। শুধু রাস্তার সভা-সমাবেশে সীমাবদ্ধ থাকা নয়, বরং ছোট ছোট সভা, লিফলেট বিলি, নাটক, গানের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে সিপিএম নেতৃত্ব। এর পাশাপাশি দলীয় ক্যাডারদের নিয়মিত ক্লাসের বন্দোবস্ত থাকছে। বলে রাখি, ১৯ ডিসেম্বর দেশজুড়ে প্রতিবাদে নামছে সিপিএম-সহ বাম দলগুলি।            


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের মোকাবিলায় কৌশল নিয়ে রূপরেখা তৈরি করতে আলিমুদ্দিনে বসে ১৭ দলের বৈঠক। এরপরই তৈরি হয়েছে লিফলেট। তা বিলি করা হবে সাধারণ মানুষকে। ওই লিফলেটে তুলে ধরা হয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাস করিয়ে কী করতে চাইছে বিজেপি? সামাজিক মেরুকরণ করে রাজনৈতিক ফায়দা তোলাই মোদী-শাহ সরকারের লক্ষ্য। সাধারণ মানুষকে বোঝাতে গিয়ে যাতে সমস্যা না হয়, সেজন্য রাজনৈতিক ক্লাসের আয়োজন থাকছে। প্রতি সপ্তাহেই চলছে ক্যাডারদের প্রশিক্ষণ। এর পাশাপাশি কাজে লাগানো হবে গণসংগঠনগুলিকে। গান, নাটক, লোকগীতির মধ্যে দিয়ে তুলে ধরা হবে এনআরসি ও সিএবি-র নেতিবাচক দিকগুলি। 



প্রতিটা জায়গায় তৈরি করে দেওয়া হয়েছে একটি দল। থাকছেন কমবয়সিরা। তাঁরাই মানুষের কাছে গিয়ে বোঝাবেন। হিন্দু-মুসলিম বিভাজন করে আসল বিষয় থেকে বিজেপি নজর ঘুরিয়ে দিতে চাইছে বলে প্রচার করা হবে। বলা হবে, জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। আপনি কী খাবেন? চাকরি কোথায়? 



বড়-সমাবেশে লোক আসে, তবে ঘরোয়া বা পাড়ার মোড়ের বৈঠক আরও বেশি কার্যকরী বলে মনে করছে নেতৃত্ব। সেখানে সরাসরি মতের আদান-প্রদান সম্ভব হয়।


সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিমের কথায়,'' ক্লাস আমরাও করি। নতুন কিছু নয়। সাধারণ মানুষের কাছে বোঝানো হবে কী বিপদের মুখে পড়েছেন তাঁরা! ওরা দেশের মধ্যে আর একটা দেশ তৈরি করতে চাইছে। আমরা বিরোধিতা করছি। জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। কেউ বলছে না! চাকরি নেই। বামপন্থীরা জীবনজীবিকার অধিকার নিয়ে সবসময় রাস্তায় রয়েছে। তৃণমূল তো চোরকে বলছে চুরি কর, গৃহস্থকে সাবধান করছে। এরাজ্যের ডিন্টেশন ক্যাম্প তৈরির নায়িকাই তো তৃণমূল নেত্রী।''


নাগরিকত্ব বিলের প্রতিবাদে ১৯ ডিসেম্বর দেশজুড়ে প্রতিবাদ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে বামেরা। বিবৃতি দিয়ে তারা জানিয়েছে,'ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ ভাবনাকে ধ্বংস করছে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। ধর্মের ভিত্তিতে বিলটির তীব্র বিরোধিতা করছে বাম দলগুলি। ধর্মীয় বিভেদ ও সামাজিক মেরুকরণের লক্ষ্যে আনা হয়েছে বিলটি। আরএসএসের রাজনৈতিক আদর্শ মেনে NRC ও CAB এনে দেশকে ধর্মনিরপেক্ষ থেকে হিন্দু রাষ্ট্রে পরিণত করার চেষ্টা করছে মোদী-শাহের বিজেপি সরকার।' ১৬ ডিসেম্বর কলকাতায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে বাম ছাত্র-যুবরা।


আরও পড়ুন- অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণের রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট