নিজস্ব প্রতিবেদন: 'বাংলাকে বঙ্গাল বলব কেন?' কলকাতায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের (International Mother Language Day) অনুষ্ঠানে প্রশ্ন তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। বললেন, 'আমি রাজ্যের নাম বাংলার করার জন্য প্রস্তাব পাঠিয়েছিলাম। চার বছর হয়ে গেল, এখনও হল না। যাঁরা বাংলাকে সুড়সুড়ি দেন, তাঁরা কেন ভেবে দেখল না? আমি দেখেছি, চিরকালই বাংলার প্রতি বঞ্চনা হয়েছে, বিমাতৃসুলভ আচরণ করা হয়'।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস (International Mother Language Day) উপলক্ষ্যে এদিন দেশপ্রিয় পার্কে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর। সেই অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী যখন ভাষণ দিতে শুরু করেন , ততক্ষণে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) বাড়িতে সিবিআই (CBI) হানার খবরে তোলপাড় শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। শাসকদলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে বিরোধীরা। ভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে মমতা কি মুখ খুলবেন? সেদিক নজর ছিল সকলের। যদিও এই বিষয়টি এড়িয়ে যান তিনি। তবে নাম না করে আক্রমণ করেন বিজেপিকে (BJP)। 


আরও পড়ুন: BJP নেত্রী পামেলা গোস্বামীকে সঙ্গে নিয়েই নিউ টাউনে তাঁর সালোঁয় হাজির পুলিস


মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, 'বাংলা থেকে যদি কেউ বড় হয়, তাহলে তাঁকে টেনে নিচে নামানোর চেষ্টা করা হয়। নেতাজি, রামকৃষ্ণ, রবীন্দ্রনাথকেও রেয়াত করেনি। রাজ্যের নাম বাংলা হবে না কেন? বাংলাদেশ আছে বলে? বাংলাদেশ তো একটা দেশ, আমরা বাংলা রাজ্যের কথা বলেছি। পাকিস্তানে পঞ্জাব আছে, তাহলে এ দেশে পঞ্জাব থাকল কী করে? আপনাদের ধমকানি-চমকানিতে ভয় পাই না। যতক্ষণ দেহে প্রাণ আছে, ধমকানি-চমকানিতে ভয় পাব না। আমাদের মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়া এত সহজ নয়'। এরপরই একুশে ফ্রেরুয়ারি নিয়ে কবিতা পাঠ করেন মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে হুঁশিয়ারি, 'একুশেই খেলা হোক। আমি থাকব গোলরক্ষক। দেখব, কার কত জোর, আমাদের হারায়! যদি জেলে পাঠিয়ে দেয়, তাহলে জেল থেকে আওয়াজ তুলব, জয় বাংলা, জয় বাংলা, জয় বাংলা। ভাষাই আমাকে শিখিয়েছে বাঘের মতো লড়তে, নেংটি ইঁদুরকে দেখে যেন ভয় না পাই'।


আরও পড়ুন: Petrol-র দাম আকাশছোঁয়া, সেস কমানোর সিদ্ধান্ত রাজ্যের


প্রসঙ্গত, আজ দিল্লিতে বিজেপির একটি বৈঠক ছিল। বৈঠকে দেখা হতেই দলের নেতা অনুপম হাজরাকে বাংলাতে মোদী (PM Modi) জিজ্ঞেস করেন, "আমার বাংলা কেমন আছে?"  টুইট করে নিজেই ঘটনাটি জানিয়েছেন বোলপুরের প্রাক্তন সাংসদ।