Cyclone Sitrang: `ঝড়-বৃষ্টি বেশি হলে ঘরে থাকাটাই ভালো`, রাজ্যবাসীকে সতর্ক করলেন মুখ্যমন্ত্রী
ঝড়ের অভিমুখ বাংলাদেশের দিকে। মঙ্গলবার ভোরে বরিশাল লাগোয়া তিনকোনা ও সন্দীপের মাঝে ল্যান্ডফলের আশঙ্কা। এ রাজ্যের উপকূলবর্তী এলাকায় জারি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা। কলকাতা মাঝারি বৃষ্টি, সঙ্গে ঝোড়া হাওয়া।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ধেয়ে আসছে ঘুর্ণিঝড় সিত্রাং! 'দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে ২৩,৭৫৪ জন, উত্তর ২৪ পরগনা থেকে ১৯,৩২৪ জন ও পূর্ব মেদিনীপুর থেকে ২৪ হাজার ৯২২ জনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে', জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। যাঁদের নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছে, তাঁদের এখনই ফিরে না যাওয়ার অনুরোধ করেছেন তিনি। আপাতত রাজ্যে জারি থাকছে সতর্কতা।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, বকখালি থেকে এখন ৩০০ কিমি দূরে সিত্রাং। ঝড়ের অভিমুখ বাংলাদেশের দিকে। আগামীকাল, মঙ্গলবার ভোরে ঘুর্ণিঝড় আছড়ে পড়বে বরিশালের তিনকোনা ও সন্দীপের মাঝে! ঘুর্ণিঝড়ের প্রভাবে ইতিমধ্যই রাজ্যের উপকূলবর্তী এলাকায় ইতিমধ্যেই ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বেশি বৃষ্টি হতে পারে দুই ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে। কলকাতা ও লাগোয়া এলাকায় অবশ্য ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা কম। মাঝারি বৃষ্টি হবে, সঙ্গে ৩০-৪০ কিমি বইবে হাওয়া। মঙ্গলবার সকাল থেকে ধীরে ধীরে আবহাওয়ার উন্নতির সম্ভাবনা।
আরও পড়ুন: Bantala Leather Complex Fire: কালো ধোঁয়ায় ঢাকল চারপাশ! বানতলা লেদার কমপ্লেক্স ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড
দুর্যোগে মোকাবিলা তৈরি প্রশাসন। রাজ্যে ২৪ ঘণ্টার জন্য খোলা হয়েছে কন্ট্রোলরুম। প্রস্তুত NDRF ও SDRF-র টিমও। এদিন মুখ্য়মন্ত্রী বলেন, 'বাংলার ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। আমরা যাঁদের নিরাপদ স্থান সরিয়েছে, তাঁদের অনুরোধ করব যে, তাঁরা যেন এখনই ফিরে না যায়। বলা যায় না, ঝড় কখন কোনদিন চলে আসে। সতর্কমূলক ব্যবস্থা জারি থাকবে'। সঙ্গে বার্তা, 'সবাই আনন্দ করুন। কালীপুজো করুন, দীপাবলি করুন, দিওয়ালি করুন। কিন্তু ঝড়-বৃষ্টি বেশি হলে ঘরে থাকাটাই ভালো'। নিজের বাড়ির কালীপুজোয় মুখ্যমন্ত্রীর ভোগ রান্নার ছবি পোস্ট করা হয়েছে তৃণমূলের টুইটার অ্য়াকাউন্টে।
প্রতিবছর কালীঘাটে নিজের বাড়িতে কালীপুজোর আয়োজন করেন মুখ্যমন্ত্রী। ব্যতিক্রম ঘটেনি এবারও। বাড়ির পুজোর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভোগ রান্নার ছবি পোস্ট করা হয়েছে তৃণমূলের টুইটার অ্য়ারাউণ্টে।
এদিকে রাজ্যের উপকূলবর্তী এলাকায় যখন মাইকিং করছে পুলিস, তখন দিঘায় হেনস্থার মুখে পড়লেন বিডিও। কেন? জানা গিয়েছে, এদিন সকালে রামনগর এক নম্বর ব্লকের বিডিও নিজেই সমুদ্রের ধার থেকে সরিয়ে দিচ্ছিলেন পর্যটকদের। তখন এ মহিলর গায়ে হাত লেগে যায় তাঁর! এরপরই রীতিমতো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন পর্যটকরা। বিডিও-কে হেনস্তা করা হয় বলে অভিযোগ। শেষপর্যন্ত বিডিও-ই পরিস্থিতি সামাল দেন।