বিক্রম দাস:  গোরুপাচার মামলায় সিবিআইয়ের হাতে আটক অনুব্রত মণ্ডল। একই দিনে কয়লা পাচার মামলায় রাজ্যের ৮ আইপিএশ অফিসারকে দিল্লিতে তলব কল ইডি। স্বাধীনতা দিবসের পরে আগামী ২২-৩০ অগস্টের মধ্যে এইসব আইপিএস অফিসারকে দিল্লিতে হাজিরা দিতে হবে। ওই তালিকায় রয়েছেন শ্য়াম সিং, রাজীব মিশ্র, জ্ঞানবন্ত সিং, তথাগত বসু, সুকেশ জৈন, কোটেশ্বর রাও, সেলভা মুরুগান ও ভাস্কর মুখোপাধ্যায়। এর আগে ওই মামলায় জ্ঞানবন্ত সিং, কেটেশ্বর রাও ও রাজীব মিশ্রকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। ইডি সূত্রে খবর, কয়লা পাচারের তদন্তে নেমে বেশকিছু তথ্য হাতে এসেছে। সেই তথ্যের উপরে ভিত্তি করেও ফের ওইসব আইপিএস অফিসারদের জিজ্ঞাসাবাদারে জন্য তলব করা হল। কয়লাকাণ্ডে রাজ্যের একাধিক আইপিএস অফিসারকে আগেও জেরা করেছে সিবিআই। এদের মধ্যে রয়েছে পুরুলিয়ার এপি সেলভা মুরুগান, জ্ঞনবন্ত সিং। এরপর ইডি ওইসব আইপিএসদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছে। রাঁচির এক আইনজীবীকে গ্রেফতার সংক্রান্ত তদন্তে এক ইডি অফিসারজে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় কলকাতা পুলিস। তারপরই রাজ্যের ৮ আইপিএসকে তলব করল ইডি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-  '৭২ জনের কাছে অনুব্রতের টাকা আছে'! শাহকে তালিকা দেবেন অনুপম হাজরা


কয়লা পাচার মামলায় ইতিমধ্যেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী রুচিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। রুজিরাকে সশরীরে দিল্লির অফিসে হাজিরা দিতে বলেছিল ইডি। করোনা আবহে তাঁর পক্ষে ২ সন্তানকে নিয়ে দিল্লিতে যাওয়া সম্ভব নয় বলে জানান রুজিরা। ইডি কর্তারা দাবি করেন, দিল্লিতেই ছিলেন রুজিরা। অথচ সমনের সাড়া দেননি। দিল্লি হাইকোর্টে আর একটি  মামলায় একই দাবি করেন অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল এসভি রাজু। পাটিয়ালা হাউজ কোর্টের দ্বারস্থ হয় ইডি (ED)। কয়লা পাচারকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লালকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। তার সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে এমন ১০ ব্যবসায়ীকেও তলব করেছিল সিবিআই।


উল্লেখ্য, রাজ্যের একাধিক মামলায় রাজ্য সরকারের উপরে চাপ বাড়াচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। এসএসসি দুর্নীতিতে গ্রেফতার হয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। পার্থ ঘনিষ্ঠের বাড়ি থেকে ৫০ কোটিরও বেশি টাকা উদ্ধার হয়েছে। ওই টাকা এল কোথা থেকে তার তদন্তে নেমেছে ইডি। এর পাশাাপাশি দশ বার নোটিস এড়ানোর পর আজ গোরু পাচার কাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডলকে তার বোলপুরের বাড়ি থেকে আটক করেছে সিবিআই। ফলে চাপ অনেকটাই বেড়ে গেল রাজ্য সরকারের উপরে। এবার কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার নজরে রাজ্যের ৮ আইপিএস অফিসার। ফলে রাজ্য সরকার যে ভালোরকম চাপে তা বলাই যায়।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)