জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কোনও সমন নেই। নোটিস নেই। বুধবার আচমকাই আসানসোল ও কলকাতায় মোট ৭টি জায়গায় সিবিআই হানায় নাজেহাল মন্ত্রী মলয় ঘটক। ওই সতটি জায়গার মধ্যে অধিকাংশ মলয় ঘটক ও তাঁর পরিবারের সম্পত্তি। টানা জেরা করা হয় মলয় ঘটকের স্ত্রীকে। তবে বেশি কিছু বাজেয়াপ্ত করা হয়নি। কলকাতায় যে বাড়িতে ময়লবাবুর ছেলে থাকেন সেখানেও অভিযান চালায় কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। মন্ত্রীর সরকারি আবাসনে সাতসকালে হাজির হন সিবিআই অফিসাররা। মলয় ঘটকের দাবি, যা করা হয়েছে তা বদনাম করার উদ্দেশ্যেই।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-অর্শদীপকে মোটেই পিঠ দেখাননি অধিনায়ক! সত্যি জানতে দেখুন পুরো ভিডিয়ো


এদিন সিবিআইয়ের অভিযান শেষে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেন মলয় ঘটক। সেখানে তিনি বলেন, টানা ৭ ঘণ্টা ধরে আমার বাড়িতে অভিযান চালায় সিবিআই। বাড়ির সব নথিপত্র ঘেঁটে দেখা হয়। আমার কাছে মোট ১৪ হাজার টাকা ছিল। সেই টাকা নগন্য বলে বাজেয়াপ্ত করা হয়নি। একটা প্রচার হচ্ছিল যে মলয় ঘটকের ৬টা বাড়ি, ৭টা বাড়ি। কলকাতায় যেখানে বসে এই সাংবাদিক বৈঠক করছি সেটা সরকারি আবাসন। ভাই যেখানে থাকে সেটা আমাদের পৈত্রিক বাড়ি। বাড়িটি একশো বছরেরও বেশি পুরনো। সেখানে আমার বাবা-পিসিরও শেয়ার রয়েছে। লেক গার্ডেন্সের একটি বাড়ি দেখানো হচ্ছে। সেটি আগেই বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। যে বাড়িতে আমার ছেলে থাকে সেটির জন্য বাড়ির ৮৮ লাখ লোন করা হচ্ছে। ২০ লাখ টাকা আমি দিয়েছি। পুরো টাকাটাই স্বচ্ছ। একটা টাকাও অন্যায়ের টাকা নেই।


হঠাত্ কেন এমন অভিযান? মলয় ঘটক বলেন, এক বছর আগে ইডি সমন পাঠিয়েছিল। ওরা যতবার যে নথি চেয়েছে তা দিয়েছি। ওরা সব দেখেছেন। কিন্তু আশ্চর্য লাগল সিবিআইকে দেখে। ওরা আমাকে ডাকলেন না। কোনও জিজ্ঞাসাবাদ করলেন না। সকালে আটটার সময় আমরা ঘুমাচ্ছিলাম। সেইসময় ওরা আমার বাড়িতে এসে হাজির হলেন। আমার বাড়িতে হাজার খানেক আইনের বই রয়েছে, ফাইল রয়েছে। সবই সিবিআই আধিকারিকরা দেখেছেন। আজ আমার একটি প্রশাসনিক মিটিং ছিল। সেখানেও যেতে পারলাম না। বিকেল তিনটে নাগাদ ওরা গেলেন। আমার একটাই বক্তব্য, শুধুমাত্র আমার বদনাম করার জন্য যেন এরকম ঘটনা যেন না ঘটে। এইসব অভিযানের একমাত্র উদ্দেশ্য কাউকে বদনাম করা।   


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)