নিজস্ব প্রতিবেদন : অসুস্থ করোনায় মৃত দমদমের প্রৌঢ়ের সহকর্মী। জানা গিয়েছে, হঠাতই শ্বাসকষ্ট দেখা দেয় ওই ব্যক্তির। শ্বাসকষ্ট দেখা দিতেই জরুরি ভিত্তিতে তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে এনআরএস হাসপাতালে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, ওই ব্যক্তির লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। সেই নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। রাতের মধ্যেই রিপোর্ট চলে আসবে। জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি দমদমের বাসিন্দা ওই প্রৌঢ়ের সহকর্মী ছিলেন। তাঁর পাশের টেবিলে বসে কাজ করতেন তিনি। আর এতেই আশঙ্কিত চিকিৎসকরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রসঙ্গত, রাজ্যে এই মুহূ্র্তে করোনায় আক্রান্ত ৯ জন। প্রাণ হারিয়েছেন ১ জন। অন্যান্য শারীরিক সমস্যা নিয়ে আগেই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন দমদমের বাসিন্দা ওই প্রৌঢ়। শনিবার তাঁর শরীরে করোনার উপসর্গ দেখা দেয়। নমুনা রিপোর্টে নোভেল করোনভাইরাসের অস্তিত্বের প্রমাণ মেলে। সোমবার ভোররাত থেকে তাঁর শারীরিক অবস্থা সংকটজনক হয়ে পড়ে। রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় ৫৫ বছর বয়সী ওই প্রৌঢ়ের। অন্যদিকে করোনায় দেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১০ জন। আক্রান্ত ৫১১ জন।


ভারতে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণের সংখ্যা। এই পরিস্থিতিতে ভারতে তৃতীয় পর্যায়ের সংক্রমণ বা সামাজিক সংক্রমণ রুখতে কলকাতা, দিল্লি, মুম্বই, বেঙ্গালুরু সহ দেশের ৮০টি জেলায় লকডাউন ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। ২৩ মার্চ বিকেল ৪টে থেকে ২৭ মার্চ মধ্যরাত পর্যন্ত লকডাউনের ঘোষণা করা হয়েছে। লকডাউনের মধ্যে কেউ আইন ভাঙলে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশপাশি, কোথাও যদি বেশিমাত্রায় মানুষকে রাস্তায় দেখা যায়, তাহলে সেখানে প্রয়োজন বুঝলে কার্ফু জারি করতেও রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র।


আরও পড়ুন, লকডাউনকে 'ছুটি' ভেবে আড্ডায় মত্ত মানুষ! লাঠিপেটা করে রাস্তা ফাঁকা করতে হল পুলিসকে