জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ওড়িশার বালেশ্বরে একসঙ্গে তিন তিনটি ট্রেনের ধাক্কায় নজিরবিহীন দুর্ঘটনার সাক্ষী দেশ। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২৬১ ছাড়িয়ে গিয়েছে। আহত হয়ে হাসপাতালে প্রায় ৭০০ জন। দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে সমস্ত খতিয়ে দেখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সকলেই গভীর দুঃখপ্রকাশের পাশাপাশি জানাচ্ছেন, এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় লক্ষ্য আহতদের ভালোভাবে উদ্ধার করা, চিকিৎসার ব্যবস্থা করা। এবার এই ইস্যু নিয়ে মুখ খুললেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তিনি বলেন, "এত বড় একটা দুর্ঘটনা! করমণ্ডল এক্সপ্রেস এখন মৃত্যুমণ্ডল। রাজনীতি বাদ দিয়ে সবাই মিলে উদ্ধারকাজে ঝাঁপিয়ে পড়া উচিত। কিন্তু এই যে এত নিরীহ মানুষেক নির্মমভাবে মৃত্যু হল, তার দায় তো কাউকে নিতে হবে! রেলের ভূমিকা নিয়ে অনেক প্রশ্নই ওঠে। দুর্ঘটনার পরও রেলের তরফে কোনও গাইডেন্স, নির্দেশিকা দেওয়া হয়নি। উদ্ধারকাজেও রেলের আধিকারিকরা সাহায্য় করেননি বলে অভিযোগ করছেন যাত্রীরা। এই মুহূর্তে রেলমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত।" 


তাছাড়া দুর্ঘটনার পর প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রেলের অত্যাধুনিক কবচ (Kavach) প্রযুক্তি নিয়েও। কোথায় গেল কবচ? সেটা নিয়েও প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা লিঙ্ক হফম্যান বুশ বা LHB কামরা থাকলে সম্ভবত ক্ষয়ক্ষতি আরও কম হত। অভিষেকের দাবি অ্যান্টি কলিশন ডিভাইস (ACD) কেন ছিল না দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনগুলিতে? এমনকী রেলরুটেও ছিল না কেন? দুর্ঘটনার পর এই প্রশ্ন উঠেছে। সেই প্রশ্নই আর একবার উসকে দিলেন তিনি। অভিষেকের বক্তব্য, "অ্যান্টি কমিশন ডিভাইস বা কবচ থাকলে কি আর এত বড় দুর্ঘটনা ঘটত? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন বারবার এর কথা বলেছেন। এখনও কেন ট্রেনগুলিতে নেই? আমার মনে হয়, রেলমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত।"  


আরও পড়ুন: Coromandel Express Accident: মোদী সরকারের 'কবচ' পদ্ধতি অচল! কেন্দ্রকে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়


আরও পড়ুন: Coromandel Express Accident: দুর্ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখতে বালেশ্বরে পৌঁছে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, ঘুরে দেখলেন


মোদী সরকারের আমলে ভারতের রেল সংস্কারে প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকা নিয়ে কটাক্ষ করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তাঁর বক্তব্য, "সেমি হাইস্পিড বন্দে ভারত এক্সপ্রেস  উদ্বোধন করছেন, আগে আগে গিয়ে সবুজ পতাকা দেখাচ্ছেন, কিন্তু যখন ট্রেন দুর্ঘটনায় সাধারণ মানুষের প্রাণহানি ঘটছে, তখন কেন তার দায় তিনি নেবেন না? আসলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা নিজেরা তো কখনও রেলে চড়েন না। এই যে বাংলায় আসেন মোদী, অমিত শাহ, তাঁরা কখনও ট্রেনে আসেন? আসেন তো বিশেষ বিমানে। তাঁরা আর কী বুঝবেন? আমি আবার অনুরোধ করছি, রাজনীতির স্বার্থে সাধারণ মানুষকে বিপদে ফেলবেন না।" 


এদিকে দুর্ঘটনার পরই একাধিক হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে। হাওড়ার হেল্পলাইন নম্বর - ০৩৩ ২৬৩৮২২১৭, খড়গপুরের হেল্পলাইন নম্বর - ৮৯৭২০৭৩৯২৫, ৯৩৩২৩৯২৩৩৯, বালেশ্বরের হেল্পলাইন নম্বর - ৮২৪৯৫৯১৫৫৯, ৭৯৭৮৪১৮৩২২, শালিমারের হেল্পলাইন নম্বর - ৯৯০৩৩৭০৭৪৬, চেন্নাইয়ের হেল্পলাইন নম্বর - ০৪৪ ২৫৩৩০৯৫২/০৪৪-২৫৩৩০৯৫৩/০৪৪-২৫৩৫৪৭৭১, ভদ্রক- ৮৪৫৫৮৮৯৯০০, কেওনঝড় রোড- ৮৪৫৫৮৮৯৯০৬, কটক- ৮৪৫৫৮৮৯৯১৭, ভুবনেশ্বর- ৮৪৫৫৮৮৯৯২২, খুরদা রোড- ৬৩৭০১০৮০৪৬। 



(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)