Coromandel Express Accident: `রাজনীতি করার সময় নয়`, করমণ্ডলে মৃতদের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকার সহায়তা ঘোষণা মমতার
Mamata Banerjee: এদিন বালেশ্বেরে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাওড়ার ডুমুরজলা হেলিপ্যাড গ্রাউন্ড থেকে সকাল সাড়ে দশটা থেকে এগারোটা নাগাদ আকাশপথে পৌঁছন দুর্ঘটনাস্থলে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মারা গিয়েছেন ২৬১ জন, আহতের সংখ্যা প্রায় ৬৫০ জন। তদন্তে ইতিমধ্যেই কমিটি গঠন করেছে রেল।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ভয়াবহ দুর্ঘটনায় ভেঙে, দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের একাধিক বগি। হতাহত হয়েছেন বহু যাত্রী। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছন সকাল ৮টা নাগাদ। তার কিছুঘণ্টা পরেই ওড়িশার দুর্ঘটনাস্থলে যান বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'আমার সঙ্গে রেলমন্ত্রী আছেন, বালেশ্বরের ডি এম আছেন। রয়েছেন কলকাতা পুলিস কমিশনারও এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। এখন রাজনীতি করার সময় নয়। তাড়াতাড়ি আহতদের উদ্ধার করে দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। আমিও তিন বার রেলমন্ত্রী ছিলাম। এখনও পর্যন্ত আমার দেখা সবথেকে বড় দুর্ঘটনা এটা। এর আগে বিহারে হয়েছিল। আমার সময়েও হয়েছিল সেটা সিবিআইকে তদন্ত করতে দিয়েছিলাম। আজ পর্যন্ত রিপোর্ট পাইনি।'
এনডিআরএফ, এসডিআরএফ, বায়ুসেনা অক্লান্তভাবে উদ্ধারকার্য চালিয়ে যাচ্ছে। মমতা এদিন আরও বলেন, 'বাংলা থেকে অনেক মানুষ রয়েছে। কেরালা থেকেও অনেক যাত্রী ছিলেন। রেলওয়ের এমন দুর্ঘটনা হলে রেলওয়ের সেফটি ডিভিশন হয়। তারাই তদন্ত করেন। অ্যান্টি কলিউশন ডিভাইস লাগানো থাকলে এই দুর্ঘটনা হত না। আমার রাজ্যের যারা মারা গিয়েছেন প্রত্যেককে ৫ লক্ষ টাকা দেব। বেশি আহতদের ১ লক্ষ টাকা এবং অল্প আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে দেব। ওড়িশা সরকার ও রেলওয়ের সঙ্গে সহযোগিতা করে সমস্ত কাজে সহযোগিতা করব। যদি রেল আহতদের পশ্চিমবঙ্গে পাঠাতে পারে আমি তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করব।' এমনকী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হলে কথা বলবেন বলেও জানান মমতা।
দুর্ঘটনা কী করে ঘটেছে, তার একাধিক বিবরণ পাওয়া যাচ্ছে। কোনও কারণই নিশ্চিত ভাবে বলা যাচ্ছে না। বিভাগীয় তদন্ত শুরু হলে এর সঠিক কারণ জানা যাবে। আপাতত অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে হতাহতদের উদ্ধারে এবং ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে লাইনের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার উপর। কারণ, ওই দুর্ঘটনার ফলে হাওড়া থেকে দক্ষিণ ভারতগামী সমস্ত ট্রেন শুক্রবার বাতিল করতে হয়েছে। বাতিল করা হয়েছে শনিবারের কিছু ট্রেনও।
দুর্ঘটনার পরই একাধিক হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে। হাওড়ার হেল্পলাইন নম্বর - ০৩৩ ২৬৩৮২২১৭, খড়গপুরের হেল্পলাইন নম্বর - ৮৯৭২০৭৩৯২৫, ৯৩৩২৩৯২৩৩৯, বালেশ্বরের হেল্পলাইন নম্বর - ৮২৪৯৫৯১৫৫৯, ৭৯৭৮৪১৮৩২২, শালিমারের হেল্পলাইন নম্বর - ৯৯০৩৩৭০৭৪৬, চেন্নাইয়ের হেল্পলাইন নম্বর - ০৪৪ ২৫৩৩০৯৫২/০৪৪-২৫৩৩০৯৫৩/০৪৪-২৫৩৫৪৭৭১, ভদ্রক- ৮৪৫৫৮৮৯৯০০, কেওনঝড় রোড- ৮৪৫৫৮৮৯৯০৬, কটক- ৮৪৫৫৮৮৯৯১৭, ভুবনেশ্বর- ৮৪৫৫৮৮৯৯২২, খুরদা রোড- ৬৩৭০১০৮০৪৬।
আরও পড়ুন, Coromandel Express Accident: এই প্রথম নয়! এর আগেও অভিশপ্ত করমণ্ডল কেড়েছে বহু প্রাণ