জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: শনিবারই বালাসোরে দুর্ঘটনাস্থলে গিয়ে যাত্রী নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। তিনি বলেন এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি পথে অ্যান্টি কলিসন ডিভাইস ছিল না। রবিবার সাংবাদিক সম্মলনে ফের সেই কথাই তোলেন তিনি। বলেন, আমার সময়ে ম্যানড লেভেল ক্রসিং ছিল না। সব ছিল আনম্যানড। আমার সময়ে সিগন্য়াল চেঞ্জ করি, টেলিকম সিস্টেম চেঞ্জ করি। সব আনম্য়ানড লেভেল ক্রসিং ম্যানড করি। প্রায় ৪০০। আমি নিজে মাডগাঁও গিয়েছিলাম। অ্যান্টি কলিসন ডিভাইস দেখেছিলাম। যখন দেখলাম এটি সফল তখন তা বসানোর ব্যবস্থা করেছিলাম। তার পর থেকে দুর্ঘটনা অনেকটাই কমে গিয়েছে। এটা কারও কৃতিত্ব নয়। এই সরকারের তো নয়ই।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-সিগন্য়ালিংয়ে ছিল বড়সড় এই গলদ, ৩ মাস আগেই জানিয়েছিলেন অপারেটিং ম্য়ানেজার


কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দেগে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এরা তো রেলের জন্য কিছুই করেনি। উপরন্তু রেলটাকে জলাঞ্জলী দিয়ে গিয়েছে। আমার সময়ে আমি দুরন্ত করে এসেছিলাম। সেই দুরন্ত-র আজ কী হাল এরা করেছে! বন্দে ভারত নামটা ভালো। সেদিন তো দেখলেন একটা গাছ পড়ে উপরটাই উড়ে গেল। আটকে রইল যাত্রীরা। পচা খাবার খেল। ইঞ্জিনটা কোথা থেকে তৈরি করেছে। আপনারা খোঁজ নিন। বন্দে ভারত-এর মতো ট্রেনের জন্য ওই ইঞ্জিন কি ঠিক? রাজ্যের বহু মানুষ দুর্ঘটনায় দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ। যারা মারা গিয়েছেন তাদের পরিবারকে ৫ লাখ টাকা দেব। গুরুত্র আহতদের ১ লাখ টাকা দেব। তাদের ৩ মাস সাহায্য করব। 


দুর্ঘটনায় আহত ও নিহতদের হিসেব দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের কাছে হতাহতের লিস্ট বাড়ছে ওদের কাছে কমছে। এখনও সব দেহ সনাক্ত করা যায়নি। ১৮২ জনের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। একটা রাজ্যেই যদি ১৮২ আরও ৬২ জন মার যায় তাহলে সংখ্য়াটি কী দাঁড়াল? রেলমন্ত্রী থাকাকালীন সময়ের কথা বলতে গিয়ে মমতা বলেন, রেল দফতর ৩ বছর চালিয়েছি। সাপ্লিমেন্টারি ডিমান্ড নিয়ে বাজেট পেশ করে এসেছি। কিছুদিন আগে মালদহ যাচ্ছিলাম। মনে হচ্ছিল রক্ষণবেক্ষণ হয় না রেলের লাইন। করমণ্ডল এক্সপ্রেসের মতো গুরুত্বপূর্ণ এক ট্রেনে অ্যান্টি কলিসন ডিভিইস ছিল না কেন? ওটা কেন করেছিলাম? দুটে ট্রেন যেন মুখোমুখি আসতে না পারে। যদি রাস্তায় কোনও ট্রেন পড়েও থাকে তাহলেও ট্রেন থেমে যাবে। লাইন কাটা থাকলে গাড়ি থেমে যাবে। এসব কেন হয়নি। এখন রেল বাজেট তুলে গিয়েছে, রেল ভবন ভেঙে দিয়েছে। রেলটাকে যেন বেচার জন্য রেখে দিয়েছে। 


মোদী সরকারের দিকে তোপ দেগে মমতা বলবেন, বলতে না চাইলেও বিজেপি আমাকে বলতে বাধ্য করেছে।  কোনওকিছুই একরফতা হয় না। ভোবেছিলাম রাজনৈতিক কথা বলব না। কেউ একটা রটিয়েছে, সরকারও করতে পারে, ভাজপাও করতে পারে। সেখানে বলা হচ্ছে আমার সময়ে দুর্ঘটনায় কত লোক মারা গিয়েছে, নীতীশের সময়ে কত মারা গিয়েছে। আমার সময়ে রেলের যে আধুনিকিকরণ করে দিয়ে এসেছিলাম তার জন্য আজ দুর্ঘটনা এত কম। ম্যানড লেভেল ক্রসিং, নতুন সিগন্যাল সিস্টেম, অ্যান্টি কলিসন ডিভাইসের ব্যবস্থা করেছিলাম। তার পরেও যে তথ্য রটানো হচ্ছে তা ভুল। ২০০১ সালে অমৃতসর মেলে একটা দুর্ঘটনা হয়েছিল। তখন অ্যান্টি কলিসন ডিভিইস ছিল না।  ২০০১ ম্যাঙ্গোলোরে একটি দুর্ঘটনায় ২০ জনের মৃত্যু হয়েছিল, মথুরা এক্সপ্রেসে ২২ জন মারা গিয়েছিল, গোরক্ষধানম এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনায় ১০ জন মারা যায়। আর জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছিলেন ১৪০ জন। এটা কেরছিল সিপিএম ও আলট্রা লেফটিস্টরা। সাইথিয়ায় একচা দুর্ঘটনা হয়েছিল। দুটো ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল তিনশো জন। 


এনিয়ে মমতা প্রশ্ন তোলেন, আমি যাদি জিজ্ঞাসা করি গোধরায় কতজনের মৃত্যু হয়েছিল? রক্ষণাবেক্ষণ না করলে এমন দুর্ঘটনা হয়। নীতীজিকে, লালুজিকে গালাগালি করছে? আপনাদের এটাই জিজ্ঞাসা করব গোধরা কে করেছিল? চলন্ত চ্রেনে আগু ল লেগেছিল। আপনাদের সময়েও অনেক দুর্ঘটনা হয়েছিল। এনিয়ে আমি বলি না।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)