Fire Crackers: আদালতের রায়ে কিছুটা স্বস্তি বাজি বাজারে, শোভাবাজারে হবে বাজি হাব
কোর্টের নির্দেশিকার ফলে এই বছর বাজি বাজারে টান পরে শেষ মুহূর্তে। যদিও সোমবার সুপ্রিম কোর্টের একটি রায়ে শেষ মুহূর্তে এই টান কিছুতা হলেও সাম্লানর চেষ্টা করছে বাজি বিক্রেতারা।
অয়ন ঘোষাল: কোর্টের নির্দেশিকার ফলে এই বছর বাজি বাজারে টান পরে শেষ মুহূর্তে। যদিও সোমবার সুপ্রিম কোর্টের একটি রায়ে শেষ মুহূর্তে এই টান কিছুতা হলেও সাম্লানর চেষ্টা করছে বাজি বিক্রেতারা।
সোমবার একটি রায়ে সুপ্রিম কোর্ট বাজি ফাটানোর উপরে কলকাতা হাই কোর্টের জারি করা নিষেধাজ্ঞা বাতিল করেছে। যদিও একেবারে শেষ মুহুর্তে রায় বেরনোয় এবার কলকাতার কোথাও বাজি বাজার বা বাজি মেলা আয়োজন করা যাচ্ছে না। দীপাবলির আগে পরে রয়েছে আর মাত্র দুটো দিন। মঙ্গলবার এবং বুধবার সারাদিন এবং বৃহস্পতিবার সকাল।
এই অল্প সময়ের মধ্যে হুগলির জনাই ও পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি থেকে কিছু গ্রিন বাজি শহরে নিয়ে এসে শোভাবাজারে একটি কমিউনিটি হল ভাড়া নিয়ে সেখানে কুড়িটি স্টলের একটি বাজি হাব বসবে। এটিই হবে শহরের একমাত্র বাজি কেনাবেচার জায়গা। এছাড়া নুঙ্গি সহ অন্যান্য উৎপাদন হাব-এ গ্রিন বাজির বেচাকেনা চলবে।
আরও পড়ুন: 'প্রগতিশীল' সিপিএমের সভায় মহিলাদের জিন্স-শার্টে ফতোয়া! বর্ধমানে উঠল অভিযোগ
সমস্তরকম বাজি নিষিদ্ধ হওয়ার হাইকোর্টের রায়ের পর স্থানীয় পুলিস একাধিক জায়গায় অভিযান চালিয়ে প্রচুর বাজি আটক করেছে। এর মধ্যে গ্রিন বাজিও আছে। সেগুলি অবিলম্বে রিলিজ করার আর্জি জানানো হবে বলে জানা গেছে। সুপ্রিম কোর্টের মান্যতাপ্রাপ্ত দশটি গ্রিন বাজির তালিকা দিয়েছে সারা বাংলা আতসবাজি বাঁচাও কমিটি। এই তালিকায় রয়েছে ঝর্না তুবড়ি, মালা হাউই, জেনারেটর তুবড়ি, ড্রোন হাউই, গ্রিন ফ্লাওয়ার টর্চ, গ্রিন ফ্লাওয়ার টপ, গ্রিন স্পার্কলার, গ্রিন সার্কেল, গ্রিন শটস, গ্রিন লাইটার।
দুই বছর ধরে বাজি বাজারে টান চলছে করোনার ফলে। এই বছর সেই বাজার কিছুটা হলেও ভালো হওয়ার আশা করেছিলেন বিক্রেতারা। যদিও বহু টালবাহানার ফলে সেই আশা খুব বেশি পূর্ণ হওয়ার সম্ভাবনা না থাকলেও নতুন এই রায়ের পরে শেষ মুহূর্তে কিছুটা ঘুরে দাঁড়ানোর আশা করছেন বিক্রেতারা।