নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্যে দ্রুত ছড়াচ্ছে করোনা সংক্রমণ। পরিস্থিতি বিচার করে সোমবার থেকেই রাজ্যজুড়ে কড়া বিধিনিষেধ আরোপ করেছে রাজ্য সরকার। করোনার পাশাপাশি গোটা দেশের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে করোনার নতুন ভ্য়ারিয়েন্ট ওমিক্রন। করোনার অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টের থেকে অনেক বেশি সংক্রমক এই প্রজাতিটি। এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে এর মারণ ক্ষমতা খুব বেশি নেই এমনটাই মনে করছেন কলকাতার ন্য়াশনাল মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডা পি পি মুখোপাধ্যায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রাজ্য যে ভাবে করোনা ছড়াচ্ছে তাতে উদ্বেগ বাড়ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। তবে এনিয়ে স্বস্তির বার্তা দিলেন ডাক্তার মুখোপাধ্যায়ের। তাঁর মতে এবার মানুষজন বেশি করে করোনা আক্রান্ত হলেও এর ভয়াবহতা কম। আগের মতো অক্সিজেনের চাহিদা বাড়েনি।


ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষের দায়িত্বের পাশাপাশি কোভিড ওয়ার্ডের দায়িত্বেও রয়েছেন ডাক্তার মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, এখনও পর্যন্ত সেরকম পরিস্থিতি হয়নি। আগেরবারের থেকে করোনা রোগী অনেক কম আসছেন ঠিকই। তারা সিম্পটোম্যাটিক হচ্ছেন না। তাদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন নেই। এতে তাদের আমরা সেফ হোমে বা হোম আইসোলেশনে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। অনেক রোগীই হোম আইসোলশনে আছেন। তাদের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ রয়েছে। হঠাত্ যদি এদের অক্সিজেনে ঘাটতি হয় তাহলে তাদের আমরা ভর্তি করে নেব। অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে আসছেন। বুথে অস্বস্তির অভিযোগ করছেন। কিন্তু পরীক্ষা করে দেখছি তাদের অক্সিজেন স্য়াচুরেশন ঠিক আছে।


আরও পড়ুন-হাওড়া ও শিয়ালদহ ডিভিশনে কখন ছাড়বে কোন ট্রেন, দেখে নিন সময়সূচি


ডা পি পি মুখোপাধ্যায় আরও বলেন, সব মিলিয়ে আমাদের এখানে ৫০ জনের মতো করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে শুধুমাত্র ডাক্তাররাই নেই, রয়েছেন নার্সিং স্টাফ ও টেকনিশিয়ান। এদের মধ্যে চিকিত্সক ৩০ জনের মতো হবে। পরিস্থিতি বিচার করে আমরা কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি। যারা সরাসরি রোগীর সঙ্গে জড়িত নয় তাদের কিছু মেডিক্যাল অফিসারকে এনে কোভিড ওয়ার্ডগুলিতে দেওয়া হবে। হাসপাতালের নাইট শেল্টারগুলি খালি রয়েছে। ওইসব জায়গায় কোভিড ওয়ার্ড করার পরিকল্পনা করছি। বহু করোনা রোগী যারা আসছেন তারা অনেকেই আতঙ্কিত। 


Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)