নিজস্ব প্রতিবেদন: তৃণমূল কংগ্রেসের 'বাংলার গর্ব মমতা' কর্মসূচিকে তীব্র শ্লেষে বিঁধলেন সূর্যকান্ত মিশ্র ও দিলীপ ঘোষ। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকের টুইট, জ্যোতি বসু ও বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে বিজ্ঞাপন দিয়ে বলতে হয়নি যে ওনারা সততার প্রতীক বা বাংলার গর্ব। দিলীপ ঘোষের কটাক্ষ, রাস্তায় পোস্টার টাঙালে কেউ বাংলার গর্ব হয় না।     


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দিলীপ ঘোষের কথায়, ''প্রচারের একটা পদ্ধতি আছে। বাংলায় গণতন্ত্র হত্যা,রাজনৈতিক হিংসা, দুর্নীতির বিরুদ্ধে 'আর নয় অন্যায়' ক্যাম্পেন শুরু করেছি। বিরোধী দল হিসেবে সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরব। কেউ যদি বাংলার গর্ব ঠিক করে দেয়, বাড়ি বাড়ি গিয়ে বলে তা কি সম্ভব? গর্বের মতো কাজ করুন, এমনিই মানুষ গর্ব করবে। রাস্তায় পোস্টার টাঙালে কেউ গর্ব হয় না।''


পশ্চিমবঙ্গে বামফ্রন্টের ৩৪ বছরের শাসনে দুই মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু ও বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের ছবি দিয়ে তৃণমূলনেত্রীকে নিশানা করেছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। তিনি টুইট করেছেন,''ওনাদের কোনওদিন বিজ্ঞাপন দিয়ে বলতে হয়নি যে ওনারা সততার প্রতীক বা বাংলার গর্ব আর যাদের শতকোটি টাকা খরচ করে বিজ্ঞাপন দিতে হয় তাদের অহঙ্কার অপরিসীম যদিও সততা প্রশ্নাতীত নয়।''



পুরভোটের আগে 'বাংলার গর্ব মমতা' কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নেমে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। 'দিদিকে বলো'র সাফল্যের পর রণনীতিকার প্রশান্ত কিশোরের মস্তিষ্কপ্রসূত আরও একটা কর্মসূচি 'বাংলার গর্ব মমতা'। পুরসভা ও বিধানসভা ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখেই লড়াইয়ে নামছে তৃণমূল। মমতার ব্যক্তিগত ক্যারিশ্মাই ভাঙাতে চাইছেন প্রশান্ত কিশোর। রাজনৈতিক মহলের মতে, বাংলায় মমতার সঙ্গে টক্কর দেওয়ার মুখ নেই বিরোধী শিবিরে। সেটাই কাজে লাগাতে চাইছেন প্রশান্ত। ঠিক যেভাবে দিল্লিতে কেজরীবাল হয়ে উঠেছিলেন আপ সরকারের প্রচারমুখ। 


আরও পড়ুন- একধাপে অনেকটা বাড়ল রাজ্যের মাদ্রাসা শিক্ষক-কর্মীদের বেতন