`ধর্মনিরপেক্ষ` রাখঢাক আর নয়, কংগ্রেসের নাম নিল CPM-র কেন্দ্রীয় কমিটি
`বাংলায় দোস্তি, কেরলে কুস্তি`- এমন দুর্নাম থেকে মুখরক্ষায় ২০১৬ সালে মাঝামাঝি পথ নিয়েছিল সিপিএম।
নিজস্ব প্রতিবেদন: আর 'ধরি মাছ না ছুঁই পানি' নয়। তৃণমূল ও বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলায় কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের সিদ্ধান্তকে সিলমোহর দিল সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটি। তারা জানাল, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি ও তৃণমূলকে হারাতে কংগ্রেসের মতো ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলির নির্বাচনী বোঝাপড়া করবে সিপিএম।
বাংলা থেকে খসড়া পাঠানো হয়েছিল কেন্দ্রীয় কমিটিতে। সেই খসড়ায় আসন্ন ভোটে কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের সওয়াল করেছে আলিমুদ্দিন। রাজ্য নেতৃত্বের দাবিতে সাড়া দিল কেন্দ্রীয় কমিটি। জানানো হল, অসমে বেড়েছে ধর্মীয় মেরুকরণ। বিনষ্ট হয়েছে সম্প্রীতি। সাধারণ মানুষ দুর্ভোগে। সে রাজ্যে কংগ্রেসের মতো ধর্মনিরপেক্ষ দলের সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতা করবে সিপিএম। তৃণমূল ও বিজেপিকে পরাস্ত করতে সিপিএম ও বামফ্রন্ট, কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতায় লড়াই হবে পশ্চিমবঙ্গে।
'বাংলায় দোস্তি, কেরলে কুস্তি'- এমন দুর্নাম থেকে মুখরক্ষায় ২০১৬ সালে মাঝামাঝি পথ নিয়েছিল সিপিএম। কংগ্রেসের নাম না করে বামফ্রন্টের বড় শরিক জানিয়েছিল, পশ্চিমবঙ্গে ধর্মনিরপেক্ষ দলের সঙ্গে হবে নির্বাচনী সমঝোতা। কংগ্রেসের নাম মুখে আনেনি নেতৃত্ব। তবে ওই 'ধর্মনিরপেক্ষ দল' বলে খানিকটা শ্যাম ও কূল রাখার চেষ্টা করেছিল। তবে নির্বাচনী সাফল্য আসেনি। জোটের ভবিষ্যৎ নিয়েও উঠেছিল প্রশ্ন। ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটে কংগ্রেস গোঁ ধরে থাকায় আর জোট হয়নি। ফলাফল, সিপিএম শূন্য। আর বিজেপি ঘরে তুলে ফেলেছে ১৮টি আসন। সিপিএম নেতৃত্বের একাংশের ধারণা, কেন্দ্রীয় কমিটির রাখঢাক অবস্থানের জেরে জোটের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে জনমানসে তৈরি হয়েছে সংশয়। সম্ভবত বাস্তব পরিস্থিতি অনুধাবন করে সম্বিৎ ফিরল কেন্দ্রীয় কমিটির।
আরও পড়ুন- উঠতে দিতে হবে স্পেশাল ট্রেনে; যাত্রী বিক্ষোভে রণক্ষেত্র হাওড়া স্টেশন