উঠতে দিতে হবে স্পেশাল ট্রেনে; যাত্রী বিক্ষোভে রণক্ষেত্র হাওড়া স্টেশন
পূর্ব রেলের জনসংযোগ আধিকারিক অমিতাভ চট্টোপাধ্যায় জানান, লোকাল ট্রেন চালানোর জন্য কোনো সঠিক তথ্য তাদের কাছে এখনো আসেনি। আর স্পেশ্যাল ট্রেন শুধুমাত্র রেলকর্মীদের জন্য
নিজস্ব প্রতিবেদন: উঠতে দিতে হবে স্পেশাল ট্রেনে। এই দাবিতে শনিবার সন্ধেয় হাওড়া স্টেশনে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন যাত্রীরা। অধিকাংশ যাত্রীদের দাবি, কাজ করতে কলকাতায় এসেছি। ফিরব কীভাবে! স্পেশাল ট্রেনে চড়তে দিতে হবে। পরিস্থিতি এমনই জায়গায় পৌঁছায় যে রেল পুলিসকে শেষপর্যন্ত লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হয়।
আরও পড়ুন-ওই যে আকাশের গায়ে দূরের বলাকারা....
এদিন, স্টেশনে ঢোকার মুখেই আটকে দেওয়া হয় যাত্রীদের। বন্ধ করে দেওয়া হয় গেট। জোর করে স্টেশনে ঢুকতে গেলে জিআরপি ও আরপিএফ এর সঙ্গে বচসা বেধে যায় যাত্রীদের। পুলিস তাদের লাঠি চার্জ করে বলে অভিযোগ যাত্রীদের। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে পুলিসের পক্ষ থেকে। মগরা থেকে আগত এক মহিলা বলেন তিনি একজন পুলিস কর্মী। পরিচয়পত্র দেখানোর পরও তাঁকে মারধর করেছে পুলিস।
করোনা পরিস্থিতির মধ্যে দীর্ঘদিন বন্ধ লোকাল ট্রেন। ফলে লোকাল ট্রেনের ওপর ভরসা করে যে সমস্ত মানুষ কাজে আসেন তারা পড়েছেন সমস্যায়। দীর্ঘদিন বসে থাকার পর রুটি রুজির টানে অনেকেই বেরিয়ে পড়েছেন বাইরে। জোর করেই উঠে পড়ছেন স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেনে। যেখানে রেলের কর্মচারী ছাড়া আর কারো ওঠার অনুমতি নেই। ফলে যাত্রীদের স্পেশ্যাল ট্রেনে উঠতে না দিলেই হচ্ছে যাত্রী বিক্ষোভ। যাত্রীদের দাবি, স্পেশ্যাল ট্রেন চালানো হোক যাত্রীদের জন্যও। সব যানবাহন এমনকি মেট্রো রেল যখন চলছে তখন লোকাল ট্রেন কেন চলবে না, এই প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।
আরও পড়ুন-একুশের আগে সংগঠনে জোর BJP-র, নভেম্বরের শুরুতেই রাজ্যে শাহ
এনিয়ে, পূর্ব রেলের জনসংযোগ আধিকারিক অমিতাভ চট্টোপাধ্যায় জানান, লোকাল ট্রেন চালানোর জন্য কোনো সঠিক তথ্য তাদের কাছে এখনো আসেনি। আর স্পেশ্যাল ট্রেন শুধুমাত্র রেলকর্মীদের জন্য। সেখানে সাধারণ যাত্রীদের ওঠার অনুমতি নেই। তবে সমস্ত কিছু নিয়ে জটিলতা কাটাতে প্রশাসন উদ্যেগ না নিলে যাত্রী বিক্ষোভ আরো বাড়বে বলে আশঙ্কা।