বাজারে গিয়ে পুড়ছে হাত, মধ্যবিত্তের `ডাল-ভাত`ও এখন অলীক স্বপ্ন!
ডাল থেকে সব্জি। ধরতে গেলেই হাতে ছ্যাঁকা লাগছে। আগুন জিনিসের দাম। বাজারে গিয়ে নাকাল আম-আদমি।মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছে মোদী সরকার। এদিকে সরকারের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তিতে বাজারে গিয়ে নাভিশ্বাস সাধারণ মানুষের। গোটা দেশের মতো রাজ্যেও একই ছবি।
ওয়েব ডেস্ক : ডাল থেকে সব্জি। ধরতে গেলেই হাতে ছ্যাঁকা লাগছে। আগুন জিনিসের দাম। বাজারে গিয়ে নাকাল আম-আদমি।মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছে মোদী সরকার। এদিকে সরকারের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তিতে বাজারে গিয়ে নাভিশ্বাস সাধারণ মানুষের। গোটা দেশের মতো রাজ্যেও একই ছবি।
চোখ রাখা যাক কলকাতার খুচরো বাজারে
জানুয়ারি মাসে মুসুর ডালের দাম ছিল কেজি পিছু ৯০ টাকার আশেপাশে। এখন মুসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৪০ টাকায়।
গত ছমাসে কলকাতার বাজারে মুগের ডালের দাম কেজিতে প্রায় ৪০ টাকা বেড়েছে। মুগ ডালের বর্তমান বাজারমূল্য প্রতি কেজি ১৮০ টাকা।
চিনির দাম বেড়েছে কেজিতে ৪ টাকা।
কেজিতে ১৫ টাকা বেড়েছে সর্ষের তেলের দাম।
গত ছমাসে এক ধাক্কায় বেড়েছে আটা-ময়দার দামও।
গত চার মাসে আলুর দাম কেজিতে প্রায় ৮ টাকা বেড়েছে।
মার্চ মাসে টম্যাটো ছিল ৩০ টাকা কেজি। এখন বিকোচ্ছে কমবেশি ৭০ টাকায়।
চার মাসে বিনসের দাম বেড়েছে ৩০ টাকা।
মার্চ-এপ্রিল-মে। এই তিন মাসে খুচরো মূল্যবৃদ্ধির হার লাগাতার উর্ধ্বমুখী। মার্চে গোটা দেশে খুচরো বাজারে মূল্যবৃদ্ধির হার ছিল ৪.৮৩ শতাংশ। মে মাসে সেটাই বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫.৭৬ শতাংশে। মার্চে খাদ্যদ্রব্যের খুচরো মূল্যবৃদ্ধির হার ছিল ৫.২১ শতাংশ। মে মাসে তা বেড়ে হয়েছে ৭.৫৫ শতাংশ। এই তিন মাসই সার্বিক মূল্যবৃদ্ধিকে ছাপিয়ে গেছে খাদ্যদ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি।
ডিজেলের দাম বাড়ায় পরিবহন খরচ বৃদ্ধি, কম ফলন এবং বেআইনি মজুতে লাগাম দিতে সরকারের ব্যর্থতা। মূলত এই তিন কারণেই জিনিসের দাম পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ছাপোষা মানুষের ডাল-ভাতে টান। শহরের সব্জি-বাজারেও একই ছবি। খালি হয়ে যাচ্ছে পকেট।