সঞ্জয় ভদ্র:  UPSC-র নামেও ভুয়ো ইমেল আইডি! কলকাতায় ২ দিন ধরে এক কর্মপ্রার্থীর পরীক্ষাও নিয়েছিল সে! দেবাঞ্জনের নয়া কীর্তির পর্দাফাঁস করল জি-২৪ ঘণ্টা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নিজেকে IAS অফিসার বলে পরিচয় দিত। সবক্ষণ ঘুরে বেড়াত নীলবাতি লাগানো গাড়িতে। কারও মনে কখনও সন্দেহ জাগেনি। পুলিস সূত্রে খবর, খুড়তুতো ভাই কাঞ্জন একমাত্র প্রথম থেকে জানতেন যে,দেবাঞ্জন দেব IAS অফিসার নয়। দাদার জালিয়াতিতে ভাগীদার ছিলেন তিনি। গ্রেফতার হওয়ার পর মুখ খুলল সেই কাঞ্জনই। দাবি করল, তিনিও নাকি প্রতারিত হয়েছেন!  কীভাবে? জানা গিয়েছে,  গোয়েন্দাদের কাঞ্চন জানিয়েছেন, তাঁকে আমলা তৈরি করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল দেবাঞ্জন।  UPSC-র নামে ভুয়ো ইমেল আইডি তৈরি করে নিয়মিত যোগাযোগ রাখত দেবাঞ্জন। বিভিন্ন সময়ে ইমেল আইডি থেকে পাঠানো হত স্টাডি মেটেরিয়াল। বস্তুত, পরীক্ষায়ও বসেছিলেন কাঞ্চন! 


আরও পড়ুন: দেবাঞ্জন মানসিক রোগের শিকার; মনোবিদের পরামর্শ প্রয়োজন, আদালতে দাবি আইনজীবীর


যাঁরা UPSC-র প্রবেশিকার পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেন, তাঁরা উল্টোডাঙার এটিআই(Administrative training Institute)-র লাইব্রেরিতে পড়াশোনা করেন। এই লাইব্রেরিতে ঢোকার ক্ষেত্রে তেমন কোনও বিধিনিষেধ নেই।  কাঞ্চনের দেবের দাবি, এই লাইব্রেরিতে ২ দিন পরীক্ষা নিয়েছে দেবাঞ্জন। প্রথমদিন মাল্টিবেল চয়েস, আর দ্বিতীয়দিন থিওরি। লাইব্রেরির একটি ঘরে একাই বসে পরীক্ষা দিয়েছিলেন তিনি। তখন সন্দেহ হয়নি? কারণ জিজ্ঞেস করায় দেবাঞ্জন নাকি বলেছিল, এটা স্পেশাল কেস!  



আরও পড়ুন: KMC-এর ভুয়ো নথি দিয়ে ৮ লক্ষের প্রতারণা, দেবাঞ্জনের নামে অভিযোগ দায়ের ইলেকট্রনিক্স ব্যবসায়ীর


তদন্তে আরও জানা গিয়েছে, পরীক্ষার তিন মাস পর কাঞ্চনের কাছ ২৫ লক্ষ টাকা চায় দেবাঞ্জন। সে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, টাকা দিলে 'ল্যাটারাল এন্ট্রি' হয়ে যাবে! মানে? আর একটি ধাপের পরীক্ষা না দিয়ে মিলবে চাকরি। এ পর্যন্ত সব ঠিকঠাকই ছিল। কিন্তু টাকা জোগাড় করতে না পারায় শেষপর্যন্ত আর 'IAS'হতে পারেননি কাঞ্চন। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা।


এদিকে ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডে ধৃত দেবাঞ্জন দেবকে এদিন তোলা হয় আলিপুর আদালতে। আইনজীবীর দাবি, মানসিক রোগের শিকার দেবাঞ্জন। চিকিত্‍সার প্রয়োজন। কেন সে এসব করেছে, তা জানার জন্য মনোবিদের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। ধৃতকে ৭ দিন পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।