নিজস্ব প্রতিবেদন: দিলচাঁদের পুরনো দিলে আর দিল নেই দিলচাঁদের পরিবারের। পুরনো হার্টটি আর নিতে চান না তাঁরা। তাহলে সেই হার্টটির ভবিষ্যত্‍ কী? স্মারক হিসাবে ফর্টিস হাসপাতালেই রাখা থাকবে দিলচাঁদের পুরনো দিল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কেন নেই দায়? কেন পুরনো দিলের ওপর আর দিল নেই দিলচাঁদের পরিবারের? হৃদয়ের বোঝাপড়া শেষে দিলদার আজ দিলচাঁদ। তবে ৩৫ বসন্ত পেরিয়ে আসা, ঘাত-প্রতিঘাতে জীবনের অতন্দ্র প্রহরী, শরীরে ধুকপুক জাগিয়ে রাখা সেই পুরনো হার্ট আজ ব্রাত্য, নিঃসঙ্গ।


রাজ্যের প্রথম হৃদয় প্রতিস্থাপনের পর একটু একটু করে সুস্থ হয়ে উঠছেন দিলচাঁদ সিং। ৩৬-এ পাওয়া জীবনদায়ী অঙ্গ নতুন শরীর পেয়ে বিদ্রোহ করেনি। তাই পুরনো হার্টে লেগে গেছে পুরাতনী গন্ধ।


দিলচাঁদের পুরনো হার্টের ভবিষ্যত্‍ কী?


ফর্টিস হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে জারবন্দি দিলচাঁদের পুরনো হার্ট। ফরমালিনে ডোবানো হৃতপিণ্ড সেই প্রাণ হয়ত হারিয়েছে, কিন্তু প্রাণহীন নয় মোটেই। তবুও দিলচাঁদের পুরনো হার্টে আর আগ্রহ নেই পরিবারের। কিন্তু আগ্রহ আছে শহরের হাসপাতালটির। বিরল একটি ঘটনা স্মৃতিকে উজ্জ্বল রাখতে চায় ফর্টিস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাই হাসপাতাল সুপার আরাফত ফইজল জানিয়েছেন, স্মারক হিসাবে দিলচাঁদের পুরনো হার্টটিকে রেখে দিতে চান তাঁরা। রাজ্যের প্রথম সফল হার্ট প্রতিস্থাপনের ঘটনাকে কেউই ভুলতে চান না।


হৃতপিণ্ড শুধু হতাশার ডমরু বাজায় না। দিলচাঁদই তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ। কিন্তু তাঁর পুরনো হার্টের অন্ত্যেষ্টি হচ্ছে না। সযত্নে থাকছে হাসপাতালেই। বিদেশে এমন হার্টের ডেথ সার্টিফিকেটও দেওয়া হয়। তারপর পরিবারের সম্মতি নিয়ে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তারপর সেই হার্টের শেষকৃত্য। কিন্তু দিলচাঁদের পুরনো হার্টের অন্ত্যেষ্টি হচ্ছে না, ভরা থাকছে স্মৃতি সুধায় ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে।