বিজেপিকে আটকাতে মাওবাদী সাহায্য নিচ্ছে তৃণমূল, বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ
এর প্রমাণও তাঁর কাছে রয়েছে বলে দাবি করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি।
নিজস্ব প্রতিবেদন : বিজেপিকে আটকাতে নকশাল ও মাওবাদীদের সাহায্য নিচ্ছে তৃণমূল। সাংবাদিক বৈঠকে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন দিলীপ ঘোষ। দাবি করলেন, অভিযোগ প্রমাণও করতে পারবেন তিনি। দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্যের পরই শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
বিজেপি রাজ্য সভাপতির দাবি, গণতান্ত্রিকভাবে বিজেপিকে আটকাতে পারছে না তৃণমূল। জনমানসে বিজেপির প্রভাব ক্রমশ বাড়ছে। আর তাই বিজেপিকে আটকাতে মাওবাদী ও নকশালদের সাহায্য নিচ্ছে তৃণমূল। এর প্রমাণও তাঁর কাছে রয়েছে বলে দাবি করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। দিলীপ ঘোষ এদিন তোপ দাগেন, ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে বুঝে নেওয়ার কথা বলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর ঠিক সেইভাবেই বিরোধীদের উপর আক্রমণ হয়।
প্রসঙ্গত, এদিন সকালেই সব্যসাচী দত্তের গণেশপুজোর উদ্বোধনে গিয়ে পুলিস দিয়ে বিজেপি নেতা-কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ তুলেছিলেন দিলীপ ঘোষ। এদিন গণেশপুজোর উদ্বোধন ঘিরে উত্তর ২৪ পরগনার জগত্পুরে কাঁচরাপাড়ার যুব নেতাকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। সেই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, “গতকাল গুন্ডা পুলিস বিজেপির ওপর আক্রমণ করেছিল। আজও কাঁচরাপাড়ায় পুলিসকে দিয়ে আক্রমণ করা হচ্ছে। সাংসদ, বিধায়করাই সুরক্ষিত নন। সাধারণ মানুষ কীভাবে সুরক্ষিত থাকবে?”
আরও পড়ুন, সংখ্যালঘু বিজেপি নেতা-কর্মীদের উপর আক্রমণ বেশি হচ্ছে, বিস্ফোরক সায়ন্তন বসু
পাশাপাশি, এদিন সাংবাদিক বৈঠকে শোভন-বৈশাখী ইস্যুতেও মুখ খোলেন দিলীপ ঘোষ। মতানৈক্যের জেরে রাজ্যে বিজেপির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়র কাছে ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন শোভন-বৈশাখী। তারপর দিল্লি উড়ে যান দুজনে। রাজ্য নেতৃত্বকে কার্যত এড়িয়েই দিল্লি যান শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। সে প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে দিলীপ ঘোষ বলেন, "আমাকে কিছু জানায়নি। তবে ওনাদের সবার সঙ্গে কথা বলার অধিকার আছে। দিল্লিতে তাঁরা যেতেই পারেন। তাই দিল্লি গিয়েছেন।"