নিজস্ব প্রতিবেদন : "পশ্চিমবঙ্গ এখন শ্রমিক রপ্তানির হাব হয়ে গেছে। আগে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, আইএস অফিসার সারা দেশে রফতানি করত বাংলা। এখন শ্রমিক রফতানি করে।" চাঁছাছোলা ভাষায় এদিন ফের রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দিলীপ ঘোষ বলেন, "পরিযায়ী শ্রমিকদের এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় পৌঁছে দিতে অন্ততপক্ষে ৬ মাস সময় লাগে। এতদিন কেন চুপ করেছিলেন তৃণমূল নেতারা? কতবার চিঠি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় সরকারকে? অসংখ্য শ্রমিক যোগাযোগ করছে আমাদের সঙ্গে। শাসকদল যদি ক্লাবের পিছনে টাকা খরচ করতে পারে, তাহলে শ্রমিকদের আনার পিছনে কেন খরচ করবে না? কেন কৃষক সম্মান নিধি ও স্বাস্থ্যবিমার মত কেন্দ্রীয় সরকারের সুযোগ রাজ্য গ্রহণ করেনি?"


তিনি অভিযোগ করেন,  "রাজ্য সরকারের কোনও হেল্পলাইন কাজ করছে না। কাজ করছে শুধু 'দিদিকে বল' হেল্পলাইন। করোনা টেস্টে ক্রমশ পিছিয়ে পড়ছে বাংলা। মৃত্যুতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলা।" উল্লেখ্য, একদিকে দিলীপ ঘোষ যখন হেল্পলাইন নিয়ে তোপ দাগছেন, তখন এদিনই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে একটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর চালু করা হয়। এরাজ্যে আটকে পড়া ভিন রাজ্যের নাগরিক ও বাইরের রাজ্যে আটকে পড়া পশ্চিমবঙ্গের নাগরিকরা ওই হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে 'Hi' লিখে পাঠিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। একইসঙ্গে এরাজ্য থেকে বেরনো ও ঢোকার ক্ষেত্রে কীভাবে পাস সংগ্রহ করা যাবে, তাও উল্লেখ করা হয়েছে।



পরিযায়ী শ্রমিকদের প্রসঙ্গ ছাড়াও এদিন রাজ্য সরকারের রেশন ব্যবস্থা নিয়েও ফের তোপ দাগেন দিলীপ ঘোষ। বলেন, "খাদ্যমন্ত্রীর যোগ্যতা কী সেটা সবাই জেনে গিয়েছেন। ওনার ব্যবস্থা যদি এতই ভালো থাকত, তাহলে ২৭৫ জন ডিলারের ডিলারশিপ বাতিল হল কেন? এসব রেশন দোকান থেকে যে সমস্ত মানুষরা রেশন সংগ্রহ করতেন, তাঁরা এখন কী করবেন?" প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।


আরও পড়ুন, রাজ্যে একদিনে রেকর্ড আক্রান্ত ১১২, মৃত বেড়ে ৭২, নয়া 'এন্ট্রি অ্যাপ' আনল সরকার