নিজস্ব প্রতিবেদন : বছর ঘুরলেই  ২০১৯-এ লোকসভা নির্বাচন। আর এই লোকসভা নির্বাচনকে সেমিফাইনাল হিসেবেই দেখছে বিজেপি। লড়াই চলবে সমানে সমানে। তৃণমূলের নাম না করে বিজেপির পদাধিকারীদের উদ্দেশে এদিন রাজ্য কমিটির বৈঠকে এই বার্তা দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন, 'সিরিয়ালে অভিনয় করতে চাই', চিঠি লিখে ঘর থেকে উধাও ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র


বৈঠকে তিনি বলেন, আগামী লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি-ই পশ্চিমবঙ্গে প্রধান প্রতিপক্ষ। অন্য কোনও রাজনৈতিক দলের মধ্যে কোনও দিশা নেই। অভিযোগ করেন, পঞ্চায়েত ভোটে একাধিক জেলায় বিজেপিকে বোর্ড গঠনে বাধা দেওয়া হয়েছে। বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে রাজ্য জুড়ে অশান্তির পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে। বিজেপির প্রার্থীদের জোর করে অন্য জায়গায় তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।  এসবই প্রমাণ করে যে, রাজ্যে বিজেপি-ই এখন প্রধান প্রতিপক্ষ।


আরও পড়ুন, তথ্য ছাড়াই বয়ান বিদেশমন্ত্রকের, মমতার শিকাগো সফর বিতর্কে দাবি তৃণমূলের


দিলীপ ঘোষের সাফ বক্তব্য, রাজ্যের মানুষকে তৃণমূল কংগ্রেস আর চাইছে না। কংগ্রেস তৃণমূলের হাত ধরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। রাজ্যে সিপিএম এর অবস্থা আরও খারাপ। কংগ্রেস যদিও সিপিএম-এর হাতও ধরে, তবুও ওদের অবস্থা ভালো কিছু হবে না। বরং আরও খারাপ হবে। এহেন অবস্থায় রাজ্যে ফের একটা পরিবর্তনের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে দাবি করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি৷ বলেন, একথা বুঝতে পেরেই বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের উপর ব্যাপক হারে অত্যাচার চালাচ্ছে তৃণমূল। মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। বাড়িঘর ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এমনকি পুলিশকে ব্যবহার করেও বিজেপিকে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে এদিন অভিযোগ করেন দিলীপ ঘোষ।


আরও পড়ুন, মাঝে গণেশ, মেয়র-মেয়রপত্নী তুলকালাম


প্রসঙ্গত, এদিন দিলীপ ঘোষের বক্তব্যে উঠে আসে মেদিনীপুরে মোদীর সভায় প্যান্ডেল ভেঙে পড়ার বিষয়টিও। তিনি জানান, প্যান্ডেল ভেঙে পড়ার পরেও বিজেপি কর্মীরা যেভাবে শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে মোদীর বক্তব্য শুনেছেন, তাতে অভিভূত হন প্রধানমন্ত্রী। পরে কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে সেকথা উল্লেখও করেন মোদী নিজে। রাজ্যের মাটিতে 'পদ্ম বাগান' তৈরি করতে দলীয় কর্মীদের তাই সেইরকমই শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি।