Dilip Ghosh: `অনেক প্রকল্পের টাকা বন্ধ হয়েছে, আরও প্রকল্পের টাকা বন্ধ হবে`; হুঁশিয়ারি দিলীপের
দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, ‘গুলি চলাটা নতুন কিছু নয় পশ্চিমবঙ্গে। সব দুষ্কৃতীরাই তৃণমূলের পতাকার তলায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। পার্টিটার দুষ্কৃতিকরণ হয়েছে, সমাজেরও অপরাধীকরণ হয়ে যাচ্ছে। এরা যদি দাপিয়ে বেড়ায় ভদ্রলোকেরা কোথায় যাবে? দুষ্কৃতীরাই জনপ্রতিনিধি হয়ে গিয়েছে। সরকারি ফান্ড কেউ লুঠ করছে সাধারণ মানুষকেও লুঠ করছে। প্রতিবাদ হলেই ভাগাভাগি নিয়ে মারামারি কাটাকাটি হচ্ছে’।
অয়ন ঘোষাল: সোমবার সকালে প্রাতঃভ্রমণে আসেন দিলীপ ঘোষ। ইকোপার্কে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। সেখানেই রাজ্যের বিভিন্ন ঘটনায় নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তিনি।
এগরার পর বজবজের বাজি কারখানায় আগুন
এই বিষয়ে তিনি জানিয়েছেন, ‘এটা অনেকদিন চলছে। বেশিরভাগ বাজি কারখানা বেআইনি ভাবে চলে। তাদের ক্যাপাসিটি বা নিয়মকানুন কিছুই মানা হয় না। বেশিরভাগ গরিব লোক এখানে কাজ করে, তাদের জীবনহানি হয়। যেখানে বাজির কারখানা সেখানেই এইরকম ভয়ের পরিবেশ থাকে। এগরাতে অনেক মহিলা কাজ করতেন, ৭-৮ জন মহিলা যারা মারা গিয়েছেন, তাদের বাড়িতে ছোট ছোট বাচ্চা রয়েছে। তারা অনাথ হয়ে গিয়েছে। পুলিস সব জানে। সব জায়গা থেকে টাকা খাওয়ার এইরকম অভ্যাস হয়ে গেলে এই সমস্যার কোনদিন সমাধান হবে না’।
এগড়ায় মহামিছিল
তিনি বলেন, ‘কাল বড় প্রতিবাদ সভা রয়েছে। বিরোধী দলনেতা থাকবেন, আমি এখনো ঠিক করতে পারিনি ওখানে যাব কিনা। কাল কিন্তু বড় প্রতিবাদ মিছিল ওখানে হবে’।
চাকদা তে শুটআউট
দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, ‘গুলি চলাটা নতুন কিছু নয় পশ্চিমবঙ্গে। সব দুষ্কৃতীরাই তৃণমূলের পতাকার তলায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। পার্টিটার দুষ্কৃতিকরণ হয়েছে, সমাজেরও অপরাধীকরণ হয়ে যাচ্ছে। এরা যদি দাপিয়ে বেড়ায় ভদ্রলোকেরা কোথায় যাবে? দুষ্কৃতীরাই জনপ্রতিনিধি হয়ে গিয়েছে। সরকারি ফান্ড কেউ লুঠ করছে সাধারণ মানুষকেও লুঠ করছে। প্রতিবাদ হলেই ভাগাভাগি নিয়ে মারামারি কাটাকাটি হচ্ছে’।
কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নামবদলের অভিযোগ
এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষের মত, ‘প্রত্যেকটা কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম এখানে পাল্টে দেওয়া হয়। সেজন্য কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েও দিয়েছে, যদি নাম বদল হয় তাহলে টাকা বন্ধ করে দেওয়া হবে। যে প্রকল্পের টাকা সেই প্রকল্পে যাবে। অনেক প্রকল্পের টাকা বন্ধ হয়েছে আরও প্রকল্পের টাকা বন্ধ হবে। এটা সরকার ইচ্ছামত করছে না, যোজনা কমিশন আইনগতভাবে টাকা আটকে দিয়েছে’।
আরও পড়ুন: Arvind Kejriwal: নবান্নে মমতার সঙ্গে বৈঠক! কলকাতায় আসছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল
তিনি আরও বলেন, ‘কে জোকার কে নয় সেটা তো পাবলিক ঠিক করবে। কেন্দ্রীয় সরকারি টাকাগুলো পাঠাচ্ছে সাধারণ গরিব মানুষের জন্য, গরিব মানুষের টাকা লুট হচ্ছে এখানে। কেন্দ্রীয় সরকার তো মোচ্ছব করতে দেবে না, সাধারণ মানুষের টাকা যদি না পৌঁছে তাহলে তা বন্ধ করে অন্যভাবে পৌঁছানোর চেষ্টা করবে। যেমন যারা রেশনের টাকা পাচ্ছেন না তাদের অ্যাকাউন্ট খুলে তাদের সরাসরি একাউন্টে টাকা দিয়ে দেওয়া হবে। সেই পথেই হাঁটবে সরকার’।
দুর্যোগের কবলে বন্দে ভারত
দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, ‘পূর্ব ভারতে কালবৈশাখী প্রায়ই হয়। আয়লা, আমফান থেকে হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে, মানুষ মারা গিয়েছে, এটা নতুন কিছু নয়। ভাগ্য ভালো কোনও দুর্ঘটনা হয়নি। ট্রেনের লাইনে গাছ পড়ে যায়, তার ছিঁড়ে যায়, এটা নতুন কিছু নয়। বন্দে ভারত বলে এটা খবর হল’।