অয়ন ঘোষাল:  এদিন পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুরের কর্মসূচিতে রাজ্যবাসীকে কর্মসংস্থানের নয়া দিশা দেখালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, "আগে বললে অনেকে আমাকে টোন-টিটকিরি করতেন, তাঁরা আজ বুঝবেন। আপনি এক হাজার টাকা জোগাড় করে একটা কেটলি কিনুন আর কয়েকটা মাটির ভাড় নিন। সঙ্গে কিছু বিস্কুট নিন। প্রথম সপ্তাহে বিস্কুট নিন। তার পরের সপ্তাহে মাকে বলুন ঘুঘনি তৈরি করে নিন। তার পরের সপ্তাহে তেলেভাজা নিন। একটা টুল আর একটা টেবিল নিন। এতো বিক্রি হবে যে কুলোতে পারবেন না। পুজোর সময়ে বাংলাতে অনেক লোক ঘুরতে আসবে। দরকার হলে একটা ঝালমুড়ির কৌটো নিয়ে নেবেন। একটু বাদাম-ছোলা দিয়ে দেবেন। দারুণ বিক্রি হবে। একটু বুদ্ধি বের করুন, অনেক কাজ হবে।" 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন, BJP Nabanna Abhiyan: 'বাংলায় আক্রান্ত বিজেপিকর্মী', রাজ্যে আসছে ৫ সদস্য়ের প্রতিনিধিদল


মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যের পরই ফের মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করলেন দিলীপ ঘোষ। কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ''রাজ্যে যখন আর কোনও দিশা থাকেনা, তখন মানুষকে এভাবেই ভুলিয়ে রাখতে হয়। সরকার দুর্নীতিতে ডুবে গেছে। লক্ষ্য নেই। উদ্দেশ্য নেই। রোড ম্যাপ নেই। ট্রেনিদের কাগজ ধরিয়ে বলছে চাকরি দিলাম। পুরো ঢপবাজি দিয়ে চলছে। ওদিকে কেজরিওয়াল মুখ থুবড়ে পড়েছেন। এদিকে মমতা মুখ থুবড়ে পড়েছেন।''  পুজোর আগে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন মমতা। কিছুদিন আগে মুখ্যমন্ত্রী জানান, পুজোর আগে ৩০ হাজার নিয়োগ করা হবে। পাশাপাশি, দেউচা পচামি কয়লাখনি প্রকল্প রূপায়ণ হলে, ১ লাখ কর্মসংস্থান হবে। এই মন্তব্যেই ফের চটলেন দিলীপ। বলেলেন, ''আপনার উপস্থিতির জন্য প্রতি মাসে এগারো হাজার? কিসের চাকরি? কিসের ট্রেনিং? সব কোম্পানিকে ভয় দেখানো হয়েছে। বলা হয়েছে কথা না শুনলে টাটার মতো পরিণতি হবে। এইভাবে বাংলার ছেলেদের বেকুব বানানো হচ্ছে।'' 


কারও কাছে সিআইডি তো শিক্ষক দুর্নীতিতে গ্রেফতার কেউ। একের পর এক ঘটনায় অস্বস্তিতে রাজ্য সরকার। এদিন সকালে জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে নোটিস ও কল্যাণময়ের গ্রেফতারের ঘটনায় দিলীপ বাবুর মত, ''রাজ্যে জিতেন তিওয়ারি ছিলেন। রাজ্যে সিআইডিও ছিল। হঠাৎ কেন মনে হল উনি কয়লা কাণ্ডে যুক্ত? আগে কেন মনে হয়নি। কি দেখাতে চাইছে? এরাই কয়লা চোরকে টাকা পাঠিয়ে দিত। আদালতের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত করছে। এরপর সিআইডি তদন্ত ধোপে টিকবে কি? এগুলো আমাদের ডিস্টার্ব করার চেষ্টা।''  তিনি আরও বলেন, ''কল্যাণময় গ্রেফতার ভাবুন একবার। রাজ্যের ছেলেমেয়েরা যার হাত থেকে জীবনের প্রথম সার্টিফিকেট নিয়েছে, সে আজ ছুরির দায়ে জেলে। যে লোকের জীবনী রাজ্যের ছেলেমেয়েরা পড়ছে, সেই শিক্ষামন্ত্রী জেলে। গোটা শিক্ষা দফতর চোরেদের আড্ডা। বাংলার কপালে এরকম খারাপ সময় আগে আসেনি।'' 


আরও পড়ুন, SSC: রাজ্যে ১৯ হাজার শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগ, পুজো আগেই চূড়ান্ত হবে তালিকা


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)