নিজস্ব প্রতিবেদন: সিবিআই কালীঘাটেও যেতে পারে। সেই ভয়ে মুখ্যমন্ত্রী আগে থেকে গণতন্ত্র বাঁচানোর কথা বলে রাখছেন। চিদম্বরমের গ্রেফতারি-কাণ্ডে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া নিয়ে পাল্টা কটাক্ষ করলেন দিলীপ ঘোষ। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রাণঘাতী হামলার আশঙ্কায় বাড়ানো হয়েছে দিলীপবাবুর নিরাপত্তা। ঠিকানাবদল করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। নতুন বাড়িতে দাঁড়িয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, 'এটা ঠিকই যে হাতটা চেন্নাই যেতে পারে, দিল্লি যেতে পারে, কালীঘাটেও যেতে পারে। সেই ভয়ে উনি আগে থেকে বলে রাখছেন। যারা দুর্নীতি করে সাধারণের টাকা লুঠ করবে,  কেউ ছাড় পাবে না।' 



একইসঙ্গে সারদাকাণ্ড উসকে দিলীপের বক্তব্য, বাংলাতেও চিটফান্ডে কেউ ছাড় পাবে না। বহু মানুষ প্রতারিত হয়েছেন। এজেন্টরা এখনও পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। দোষীদের শাস্তি হবেই।     


কিন্তু সিবিআই তো অমিত শাহকেও গ্রেফতার করেছিল? দিলীপের কথায়, 'আমরা সিবিআইকে গালাগালি দিইনি। পালাইনি। মুম্বই হাইকোর্ট থেকে নেতারা নির্দোষ হিসেবে ছাড় পেয়েছে। বিচারব্যবস্থার উপরে আস্থা থাকলে কোর্টে যাক। কোর্ট তো রায় দিয়েছে। কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী চলছে সবকিছু। কুযুক্তি আর চলবে না।'


কিন্তু সিবিআই কি অতিসক্রিয় হয়নি? দিলীপের মন্তব্য, ২৭ ঘণ্টা কোথায় ছিলেন? লোক দিয়ে সিবিআইকে আটকানোর চেষ্টা করেছেন। তাঁর স্ত্রী আইনজীবী, উনি রাস্তা আটকে বসেছিলেন। নাটক হয়েছে। তারপরেও বাড়ি থেকে চিদম্বরমকে বের করে এনেছে সিবিআই। নাটক আমরা বুঝি। 


এদিন দিঘা থেকে কলকাতা আসার পথে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিদম্বরমের গ্রেফতারি নিয়ে মুখ খোলেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'আইনি ব্যাপার নিয়ে বলতে চাই না। তবে পদ্ধতি সঠিক নয়। চিদম্বরম প্রবীণ রাজনীতিবিদ। প্রাক্তন অর্থ ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। যেভাবে তাঁকে গ্রেফতার করা হল, সেটা হতাশাজনক, দুঃখজনক।' বিচার ব্যবস্থার প্রতিও পরোক্ষে নিজের উষ্মাপ্রকাশ করেছেন মমতা। বলেন, 'গণতন্ত্র, নির্বাচন কমিশন, সংবাদমাধ্যম ও আইন-আদালত চারটি স্তম্ভ। দেশে গণতন্ত্র নেই। গণতন্ত্র কাঁদছে। বিচারব্যবস্থা নিয়ে বলব না। রবি ঠাকুরের কথায় বলি,  বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদে।' 


আরও পড়ুন- প্রাণঘাতী হামলার সুপারি বাংলাদেশি গ্রুপকে, আশঙ্কায় ঠিকানাবদল দিলীপের