অয়ন ঘোষাল: মঙ্গলবার পঞ্চায়েত ভোট গণনার দিন সকালে মেদিনীপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন বিজেপি-র জাতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। জাওয়ার সময় রাজ্য এবং শাসক দল সম্পর্কে নিজের ক্ষোভ উগ্রে দেন তিনি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তৃণমূল প্রতিনিধি দলের মনিপুর সফর


দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘সাড়া দেশের লোক এখানে আসছে, গণতন্ত্র বেঁচে আছে কিনা দেখতে। আর এরা যাচ্ছে মণিপুর। এসব চালাকি করে বেশিদিন চলে না। এরা দিল্লী যাবে, বিহার যাবে , উত্তরপ্রদেশ যাবে, আর এই রাজ্যে পাড়ায় পাড়ায় খুন খারাপি চলবে। রোজ মৃত্যু হবে। লোক ত্রাহি ত্রাহি করবে। রাজ্যপালকে জেলায় জেলায় ঘুরতে হবে। তারপরেও এরা নির্লজ্জের মতো অন্য রাজ্যে যাবে’।


সুড়ঙ্গের পরেই আলো, রাজ্যপালের মন্তব্যে কিসের ইঙ্গিত?


তিনি বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের লোকেরাও সেই আলোর অপেক্ষায় আছে। কারন পুরোটাই তো অন্ধকার। রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে’।


আরও পড়ুন: WB Panchayat Election 2023: বুথের বাইরে পুলিসকর্মীকে গণপিটুনি! ভাইরাল ভিডিয়ো


কেমন ফল করবে বিজেপি?


দিলীপ জানিয়েছেন, ‘কটা পাবো জানিনা। তবে পাবো। জেলা পরিষদ। আমরা আমাদের এলাকায় ভাল ভোট করিয়েছি। তৃণমূল অনেক চেষ্টা করেছিল গোলমাল করার। এই যে ওরা বলছে ওদের লোক মারা গিয়েছে, ওদের লোক কেউ মারা যায়নি। গুন্ডা এবং সমাজবিরোধী, যারা টাকা নিয়ে ভোট করায়, তারা মারা গেছে। মানুষ প্রতিরোধ করেছে বলে ওদের বডি পড়ে গেছে। আগামি দিনেও মৃত্যু হবে। এবং সেটাও একতরফা হবে না’।


গণনাকেন্দ্রে এক কোম্পানি করে বাহিনী


তিনি বলেন, ‘দেখা যাক। শুনেছি সেন্ট্রাল ফোর্স থাকবে। সে তো কোর্ট বলেছিল, ভোটের দিন সেন্ট্রাল ফোর্স থাকবে। একটা করে পুলিস ও সিভিক পুলিস ছিল। সেই পুলিস প্রানে বাঁচার জন্য দৌড়ে পালাচ্ছে। সে মানুষকে কী বাঁচাবে? তাই এরকম লুঠ হয়েছে। কাল পুননির্বাচনেও লুঠ হয়েছে’।


ভোটে বাহিনী নেই। আজ বাহিনী দিয়ে কী লাভ?


দিলীপ জানিয়েছেন, ‘৬৯ হাজার বাহিনী। বসিয়ে রাখা হয়েছিল। বাহিনী বলেছে, আমরা খবর পাইনি বলে যেতে পারিনি’।


আরও পড়ুন: WB Panchayat Election 2023: পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের


ফের উত্তপ্ত দিনহাটা


তাঁর দাবি, ‘দিনহাটা, সিতাই, শীতলকুচি, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এই জেলাগুলি সারা বছর উপদ্রুত। এখন দুষ্কৃতিদের পুরো রাস্তায় নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। গণনাতেও লুঠ হবে। জেতার পরেও বিজেপিকে সার্টিফিকেট দেওয়া হবে না। বিডিওকে হুমকি দেওয়া হবে। রেজাল্ট চেঞ্জ করার চেষ্টা হবে’।


১৮-র সন্ত্রাস কী ২৩-এ ছাপিয়ে গেল?


দিলীপ বলেন, ‘আসলে প্রশাসনের উপর মুখ্যমন্ত্রীর কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। যে যা খুশি করে বেড়াচ্ছে। তাই এই পরিণতি। মানুষ বুঝতে পারছে, তৃণমূল কে ভোট দিয়ে কী ভুল করেছি’।


শুভাপ্রসন্ন এবং চিরঞ্জিত বেসুরো


দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, ‘যারা আজ লজ্জা পাচ্ছে, তারাই একসময় সিপিএম-এর অত্যাচারের বিরুদ্ধে তৃণমূলকে সাপোর্ট করেছিল। আগে তারা স্বীকার করুন, তারা ভুল করেছেন। সৌগত রায় কখন কী বলেন বুঝিনা। ওনার এলাকাতেও সন্ত্রাস হয়েছে’।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)