অয়ন ঘোষাল: রাজ্যে চাপ বাড়াচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। এর মধ্যেই লোকসভা নির্বাচনের আগে বিরোধী ঐক্যের সলতে পাকাতে শুরু করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার নবান্নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন নীতীশ কুমার ও তেজস্বী যাদব। বিজেপি দুই নেতার সঙ্গে সাক্ষাতের পর লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি বিরোধী জোটে আপত্তি নেই বলেই জানিয়ে দেন মমতা। এরপরই তা মমতার এই পদক্ষেপ নিয়ে সরব বিরোধীরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন, Online Admission: চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকে বদলে যাচ্ছে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির নিয়ম.....


এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, 'এর আগে সিপিএমের হরকিষণ সুরজিৎ ঠিক এই জিনিসটাই করত। এই করে করে তার নিজের পার্টি উঠে গেল। গত বার আমরা দেখলাম মমতা সেই রোল প্লে করেছেন। পাটনা, মুম্বই, লখনউ ঘুরে বেড়ালেন। তার এক ডজন সিট কমে গেল। পার্টিটা লোকাল পার্টি হয়ে গেল। এখন নীতিশ কুমারের হাতে কোনও কাজ নেই। একজন ছোকরা তাকে ধাক্কা মারছে সরিয়ে দেওয়ার জন্য। তাই তিনি তীর্থযাত্রায় বেরিয়েছেন। এপিসেন্টার কলকাতা থেকে পাটনা গেছে। যারা ব্রিগেডে এসে আগেরবার সভা করেছিলেন মোদী হঠাও বলেছিলেন, অনেকেই দিল্লি পর্যন্ত পৌছাতে পারেননি। এবারও অনেক পার্টির সেই অবস্থা হবে। আর কিছু পার্টি উঠে যাবে।' 


এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসংযোগ যাত্রা নিয়েও কটাক্ষ করেন দিলীপ। এদিন বিজেপি নেতা বলেন, 'নতুন তৃণমূল হয়েছে। মমতার তৃণমূল হয়তো উঠে গেছে। ওই নেতারা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আলেকজান্ডার যেমন ভারত অভিযানে এসেছিলেন। আমি সম্প্রতি উত্তরবঙ্গে গেছিলাম। শুনলাম একটা তাবুর একদিনের ভাড়া ২৫ হাজার টাকা। তৃণমূল হয়তো এভাবেই আবার সর্ব ভারতীয় পার্টি হওয়ার চেষ্টা করছে। জানি না এটা কতটা যুক্তিযুক্ত। রাজনীতির ধারা এখন এরকম হয়ে গেছে।'


'আমরা এবং বাংলার মানুষ অন্য রাজনীতি দেখে অভ্যস্ত। জানি না কার সঙ্গে সংযোগ করবেন। যে নেতারা সিবিআই ডাক পাচ্ছেন, তাদের কুশল হাল জানতে গেছেন হয়তো। দলে পুরনো লোক আর কে কে আছে হয়তো সেটাই দেখতে গেছেন। আমার তো মজা লাগছে, এই প্রথম এই রাজনীতি শুরু হল, যে প্রার্থী কাকে চাই। ওনারা আগে ঘোষনা করেছিলেন ৬০ হাজার প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিক করবেন। এতদিন কারা ঠিক করত? এখন বলছে মানুষ ঠিক করবে? প্রতিবার এ ধরনের ভাঁওতাবাজির রাজনীতি দিয়ে মানুষকে বোকা বানানোর চেষ্টা হয়। এটাই যদি পাঁচ বছর আগে গিয়ে বলত, মানুষ বুঝত। তখন তো পঞ্চায়েত লুঠ করেছেন। পাঁচ বছরে মানুষকে পরিষেবা দেননি। ধনসম্পত্তি লুঠ করেছেন। মানুষ এর বিরুদ্ধে ভোট দেবে। সাধারণ মানুষ ত্রস্ত। দুর্নীতি চুড়ান্ত পর্যায়ে পৌছে গেছে। মানুষ পরিত্রাণ চাইছেন।' 


কালিয়াগঞ্জ ইস্যুতেও তোপ দাগেন দিলীপ ঘোষ। কটাক্ষের সুরে তিনি বলেন, 'প্রিয়ঙ্ক কানুনগো সার্কিট হাউসে বসে আছেন। কেউ যাচ্ছে না। তারা অ্যাভয়েড করতে চাইছিলেন। এর আগে তিলজলা কেসে তাকে থানায় হেনস্থা করা হয়েছে। চাঁচলে একই ঘটনা। সেখানে তাকে বাধা দেওয়া হয়েছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে আর প্রশাসন নেই। সবাই দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। গ্রামে লোক দাঁড় করিয়ে গো ব্যাক শ্লোগান করা হচ্ছে। জানি না একটা সরকার এভাবে কতদিন চলতে পারে। রাজ্যের ইমেজ ধুলায় লুটিয়ে যাচ্ছে। এটা নিয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা হয়েছে। হওয়া উচিৎ। আমি পরশু জলপাইগুড়ি ছিলাম। একটি পরিবার সুইসাইড করেছে। একসময় আমাদের ওরা শিশু পাচার কাণ্ডে জড়ানোর চেষ্টা করেছিল। মিথ্যা কেস দিয়ে। তারাই এই সুইসাইড কাণ্ডের পিছনে আছে। ২৫ দিন হয়ে গেছে। কোর্টে সুইসাইড নোট জমা পড়েনি। দেড় বছর ধরে এই পরিবারকে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। বাড়ির লোকের গতিবিধি ট্র্যাক করা হচ্ছিল। পুলিস কারুর গায়ে হাত দেয়নি। কারণ ওখানকার বড় তৃণমূল নেতা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত।'


 



আরও পড়ুন, Doctor Sacked: ভোটে দাঁড়ানোয় চাকরি গেল সরকারি চিকিৎসকের!


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)