Doctor Sacked: ভোটে দাঁড়ানোয় চাকরি গেল সরকারি চিকিৎসকের!
একুশের বিধানসভা ভোটে গাইঘাটা কেন্দ্রে নির্দল প্রার্থী ছিলেন চিকিৎসক সজল বিশ্বাস। প্রার্থী হওয়ার আগেই চাকরি ছাড়তে চেয়েছিলেন তিনি নিজেই, কিন্তু পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়নি!
মৈত্রেয়ী ভট্টাচার্য: চাকরি ছাড়তে চেয়েছিলেন তিনি নিজেই, কিন্তু পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়নি! কেন? ন্যাশনাল এসসিএসটি কমিশনের ভাইস চেয়ারপার্সন জানিয়েছিলেন, স্বাস্থ্যসচিবের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হবে। বিভাগীয় তদন্তের পর এবার সেই চিকিৎসককে চাকরি থেকে বরখাস্ত করল স্বাস্থ্যদফতর।
জানা গিয়েছে, আলিপুরদুয়ারে তখন বিএমওএইচ পদে কর্মরত ছিলেন। ২০২১ সালে জানুয়ারি মাসে আচমকাই কাজে যাওয়া বন্ধ করে দেন চিকিৎসক সজল বিশ্বাস। শুধু তাই নয়, সেই মাসেই পদত্যাগপত্রও পাঠিয়ে দেন স্বাস্থ্য দফতরে! ওই চিকিৎসকের দাবি, চাকরি জীবনে মোট ১৭ বার বদলি করা হয়েছে তাঁকে। এরপর একুশের বিধানসভা ভোটে উত্তর ২৪ পরগনা গাইঘাটা কেন্দ্র থেকে নির্দল প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন সজল।
আরও পড়ুন: SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতির দায় কার, আদালত চত্বরে খোলসা করলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ
এদিকে চিকিৎসক সজল বিশ্বাসের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেনি স্বাস্থ্যদফতর। এমনকী, ফের চাকরিতেও যোগ দিতে দেওয়া হয়নি তাঁকে! মামলা গড়ায় স্যাটে। সমস্য়ার সুরাহা না হওয়ায় শেষপর্যন্ত ন্যাশনাল এসসিএসটি কমিশনের দ্বারস্থ হন ওই চিকিৎসক। স্বাস্থ্য় দফতরকে একাধিক চিঠি পাঠায় কমিশন। জবাব না পেয়ে স্বাস্থ্যসচিবের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি কথা জানান কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান অরুন হালদার। যা রাজ্যের ইতিহাসে নজিরবিহীন।
তাহলে? ২০২২ সালে মার্চে মার্চে সজল বিশ্বাসের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করে স্বাস্থ্য দফতর। সেই তদন্তের ভিত্তিতে এদিন চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হল ওই চিকিৎসককে!