নিজস্ব প্রতিবেদন: “৩দিন ধরে আন্দোলন চলল। আমরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সহমর্মিতা আশা করেছিলাম। মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতি শুনে মনে হল আমরাই দোষী। রাজ্যপালের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। উনি আমাদের সময় দিয়েছেন, আমাদের কথা শুনেছেন। আমরা আশা করছি রাজ্যপাল এবিষয়ে হস্তক্ষেপ করবেন।” রাজ্যপালের সঙ্গে করে বেরিয়ে বলল চিকিত্সকদের প্রতিনিধি দল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 



তাঁরা বলেন, “আমাদের একটাই দাবি, নিরাপত্তা দরকার। সশস্ত্র পুলিস বাহিনী হাসপাতালগুলিতে মোতায়েন রাখতে হবে। এনআরএস-সহ অন্যান্য মেডিক্যাল কলেজে চিকিত্সকদের ওপর যে আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে,  তাতে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে হবে। এনআরএস-এ যে ঘটনা ঘটেছে, তাতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করতে হবে।”


সাংবাদিকদের সামনে চিকিত্সকরা প্রশ্ন করেন, “আপনারাই বলুন তো, আমরা দোষী?” আন্দোলন চলবে বলে জানিয়ে দেন চিকিত্সকরা। এসএসকেএম-এ জুনিয়র চিকিত্সকদের সঙ্গে আন্দোলনে যোগ দিলেন সিনিয়র চিকিত্সকরাও। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে খুলল এমার্জেন্সি।


 এদিন মুখ্যমন্ত্রী  ‘এসমা’ জারি করার হুঁশিয়ারি দেওয়ার পরই চিকিত্সকরা পাল্টা জানিয়ে দেন, “আমরা কেউ সরকারের কাছে দায়বদ্ধ নই। সরকার এসমা জারি করার আগেই আমরা গণ ইস্তফা দেব।” ৮জন চিকিত্সক ইতিমধ্যেই ইস্তফা দিয়েছেন। সাগরদত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গণইস্তফার  দাবি জুনিয়র চিকিত্সকদের।


NRS কর্তৃপক্ষের সঙ্গে জুনিয়র চিকিত্সকদের বৈঠক চলছিল। সেই সময়ই মুখ্যমন্ত্রী SSKM এ ঢুকে বিস্ফোরক কথা বলেন। তিনি বলেন, :  “৪ ঘণ্টা সময়সীমা বেঁধে দিলাম। তার মধ্যে কাজে যোগ না দিলে ‘এসমা’ (Essential Service Maintenance Act)  জারি করব।”


‘এসমা’ জারির হুঁশিয়ারিতেও গলল না বরফ, গণ-ইস্তফার ডাক চিকিত্সকদের!


সাংবাদিকদের সামনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “চিকিত্সকদের কাজ সেবা করার। স্বতঃস্ফূর্তভাবে একটা ঘটনা ঘটে গিয়েছে। কেউ ইচ্ছে না এসব করে না। ওদের সঙ্গে সিপি বসল। চন্দ্রিমা গিয়ে হাসপাতালে ওই ছেলেটাকে দেখে আসল। চিকিত্সার সব খরচ সরকার নিল। এরপরও... এত বড় ঔদ্ধত্য ওদের। ৪ দিন ধরে আবেদন করছি। কানই দিচ্ছে না। একটা ডাক্তার তৈরি করতে ২৫ লক্ষ টাকা লাগে। এখানে ইন্টার্ন করে তারপর বাইরে চলে যায়। আমি যদি ডোনেশন চালু করি, আরও ২০ শতাংশ ছেলেমেয়ে সুবিধা পাবে। ওদের মায়া নেই? কিছুলোক উস্কানি দিচ্ছে ওদের। আজ ২টোর মধ্যে কাজে যোগ দিলে ভালো, আমরা এসমা জারি করব। ”


এরপরই আরও ক্ষোভে ফেটে পড়েন চিকিত্সকরা। কর্মবিরতিতে যে তাঁরা তা স্পষ্ট করে দেন চিকিত্সকরা। জুনিয়ার ডাক্তাররা বলেন, “রাজ্যের ডাক্তারদের নিরাপত্তা নেই। ডাক্তাররা চলে গেলে পরিষেবার দায়িত্ব রাজ্যের। এই দায় ডাক্তারদের নয়।” আন্দোলন যেমন চলছে, তেমন চলবে। জোর করে আন্দোলন তোলা যাবে না। স্পষ্ট জানিয়ে দিল চিকিত্সকদের আন্দোলনরত যৌথ কমিটি।