‘এসমা’ জারির হুঁশিয়ারিতেও গলল না বরফ, গণ-ইস্তফার ডাক চিকিত্সকদের!
জুনিয়ার ডাক্তাররা বলেন, “রাজ্যের ডাক্তারদের নিরাপত্তা নেই। ডাক্তাররা চলে গেলে পরিষেবার দায়িত্ব রাজ্যের। এই দায় ডাক্তারদের নয়।”
নিজস্ব প্রতিবেদন: ‘এসমা’ (Essential Service Maintenance Act) জারির হুঁশিয়ারিতেও বরফ গলল না। নিজেদের আন্দোলনে অনড় চিকিত্সকরা। তাঁদের হুঁশিয়ারি, “আমরা কেউ সরকারের কাছে দায়বদ্ধ নই। সরকার এসমা জারি করার আগেই আমরা গণ ইস্তফা দেব।” ৮জন চিকিত্সক ইতিমধ্যেই ইস্তফা দিয়েছেন। সাগরদত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গণইস্তফার দাবি জুনিয়র চিকিত্সকদের।
NRS কর্তৃপক্ষের সঙ্গে জুনিয়র চিকিত্সকদের বৈঠক চলছিল। সেই সময়ই মুখ্যমন্ত্রী SSKM এ ঢুকে বিস্ফোরক কথা বলেন। তিনি বলেন, : “৪ ঘণ্টা সময়সীমা বেঁধে দিলাম। তার মধ্যে কাজে যোগ না দিলে ‘এসমা’ (Essential Service Maintenance Act) জারি করব।”
সাংবাদিকদের সামনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “চিকিত্সকদের কাজ সেবা করার। স্বতঃস্ফূর্তভাবে একটা ঘটনা ঘটে গিয়েছে। কেউ ইচ্ছে না এসব করে না। ওদের সঙ্গে সিপি বসল। চন্দ্রিমা গিয়ে হাসপাতালে ওই ছেলেটাকে দেখে আসল। চিকিত্সার সব খরচ সরকার নিল। এরপরও... এত বড় ঔদ্ধত্য ওদের। ৪ দিন ধরে আবেদন করছি। কানই দিচ্ছে না। একটা ডাক্তার তৈরি করতে ২৫ লক্ষ টাকা লাগে। এখানে ইন্টার্ন করে তারপর বাইরে চলে যায়। আমি যদি ডোনেশন চালু করি, আরও ২০ শতাংশ ছেলেমেয়ে সুবিধা পাবে। ওদের মায়া নেই? কিছুলোক উস্কানি দিচ্ছে ওদের। আজ ২টোর মধ্যে কাজে যোগ দিলে ভালো, আমরা এসমা জারি করব। ”
এরপরই আরও ক্ষোভে ফেটে পড়েন চিকিত্সকরা। কর্মবিরতিতে যে তাঁরা তা স্পষ্ট করে দেন চিকিত্সকরা। জুনিয়ার ডাক্তাররা বলেন, “রাজ্যের ডাক্তারদের নিরাপত্তা নেই। ডাক্তাররা চলে গেলে পরিষেবার দায়িত্ব রাজ্যের। এই দায় ডাক্তারদের নয়।” আন্দোলন যেমন চলছে, তেমন চলবে। জোর করে আন্দোলন তোলা যাবে না। স্পষ্ট জানিয়ে দিল চিকিত্সকদের আন্দোলনরত যৌথ কমিটি।