নিজস্ব প্রতিবেদন: দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই খারাপ। এনিয়ে কেন্দ্রকে নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে এক্ষুনি আলোচনা প্রয়োজন। এমনটাই দাবি করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সোমবার বগটুইয়ে নিহতদের আত্মীয়দের চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ভার্চুয়াল ওই অনুষ্ঠানের শেষে মমতা বলেন, ভারতের অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই খারাপ। শ্রীলঙ্কায় আজ মানুষ বিদ্রোহের পথে নেমেছে। ভারতের অর্থনীতির অবস্থা কিন্তু আরও খারাপ। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে আমি আমাদের দেশের তুলনা করি না। তবে গত কয়েকদিনে ১৩ বার পেট্রোল-ডিজেলের দাম বেড়েছে। কোনও পরিকল্পনা নেই। গ্যাসের দাম বেড়েছে, পিএফ-এ সুদ কমেছে। রেল থেকে সেল, ব্যাঙ্ক-সব বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। মানুষ জানেই না ব্যাঙ্ক জমা টাকা বা বিমার টাকা ফেরত পাবে কিনা। জিএসটির টাকা অনেক রাজ্য পাচ্ছে না। ছত্তীশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী সেকথা আমাকে লিখেছেন। দেশের সর্বনাশ হলে তা থেকে কেউ বাঁচবে না। আমি মনে করি দেশের প্রত্যেকটি পার্টিকে ডেকে কীভাবে দেশের অর্থিক পরিস্থিতির উন্নতি করা যায় তা আলোচনা করা উচিত। ইডি-সিবিআই না লাগিয়ে, ফোর্সফুল ডেমোক্রাসি না করে সুস্থ গণতন্ত্র গড়ে তোলা প্রয়োজন।


এদিকে, দেশের অর্থনীতির করুণ অবস্থা নিয়ে করা মমতার মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, আলোচনা করে দেখা উচিত পশ্চিমবঙ্গে এখন কীরকম আর্থিক সঙ্কটের মধ্যে রয়েছে। রাজ্য সরকার ক্যাপিটাল ইনভেস্টমেন্ট কমিয়ে এনেছে। বিভিন্ন কর্পোরেশন, মিউনিসিপ্য়ালিটির টাকা অন্য খাতে খরচ করিয়ে দেওয়া হয়েছে। অনুদানের রাজনীতি করতে গিয়ে রাজ্যের হাল খারাপ হয়েছে। রাজ্যের কর্মচারীরা ডিএ পাচ্ছেন না। সরকার রাস্তা সারাতে পারছে না। গত অর্থবর্ষে নিয়ে আসা প্রকল্পগুলির বর্তনমান অবস্থা কী? 


বগটুইয়ের হিংসার কথা উল্লেখ না করে মমতা বলেন, আমাদের রাজ্যের বর্ডারে রয়েছে বিহার, ঝাড়খণ্ড। রামপুরহাটের পাশেই রয়েছে দুমকা। সেখানে অনেক অস্ত্র কারখানা রয়েছে। দুমকায় আমাদের এসটিএফ অস্ত্র কারখানার হদিস পেয়েছে। উত্তর প্রদেশ থেকে কয়লার গাড়ি আসবে, রাজস্থান থেকে গরুর গাড়ি আসছে। যাবে আমার রাজ্যের উপর দিয়ে, উত্স কিন্তু অন্য জায়গায়। এসব কেন্দ্রে কেন বন্ধ করছে না! উত্তর প্রদেশে, রাজস্থান থেকে ওইসব গাড়ি বাংলাদেশ যাচ্ছে। সীমান্ত রয়েছে বিএসএফ। এখানে রাজ্যের দায় কোথায়? মাননীয় প্রধান বিচারপতির কথা রিপিট করছি, বিরোধী দল হলে সরকার অতি সক্রিয়, আর সরকারি দল হলে অতি নিষ্কৃয়! 


আলিয়া বিশ্ববিদ্য়ালয়ের ঘটনা নিয়ে মমতা বলেন, যে ওই ঘটনায় জড়িত তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু বিশ্বভারতীতে কী হয়েছে? কজন অ্যারেস্ট হয়েছে? ভিসি অ্যারেস্ট হয়েছে? আমাদের এখানে পুলিস অ্য়াকশন নেওয়া হয়। শুধু বাংলারটাই দেখা হয়। 


অন্যদিকে, ইউক্রেন ফেরত পড়ুয়াদের প্রসঙ্গে মমতা বলেন, স্টুডেন্টদের পড়ানোর টাকা নেই। আমি চিঠি লিখলাম শুধু অনুমতিটা দিন। ইউক্রেন থেকে আসা পড়ুয়াদের ব্যাপারে ভাবছে না কেন কেন্দ্র! আমি স্তম্ভিত।     


আরও পড়ুন-খেলনার টোপ দিয়ে বাগানে 'ডাক', নির্জনে নাবালিকার 'চরম ক্ষতি' করল পাড়ার কাকু


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)