Rujira Banerjee: তৈরি `টাফ` প্রশ্নমালা! অভিষেক জায়া রুজিরাকে জেরা করতে দিল্লি থেকে ইডির বিশেষ দল
সোমবার ৫ জুন রুজিরা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে নোটিস ধরায় ইডি। সেদিন সকালেই বিদেশ যাওয়ার পথে দমদম বিমানবন্দরে আটকানো হয় রুজিরা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে। নোটিস ফর অ্যাপিয়ারেন্স বা Summon for Appearence দেওয়া হয় রুজিরা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: প্রশ্নমালা তৈরি। কয়লা পাচার মামলায় রুজিরা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে আজ সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করেছে ইডি। অভিষেক পত্নী রুজিরাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে ইতিমধ্যে কলকাতায় পা রেখেছে ইডির বিশেষ দল। ইডির সেই তিন সদস্যের বিশেষ তদন্তকারী দলে রয়েছেন ইডির ডেপুটি ডিরেক্টর পঙ্কজ কুমার সহ দুই জন অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর পদমর্যাদার আধিকারিক। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা ২০মিনিট নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছন তাঁরা। বিমানবন্দর থেকেই সোজা সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দফতরে আসেন তাঁরা। সিজিও কমপ্লেক্সে তাঁরাই রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন বলে সূত্রের খবর।
ওদিকে আজ ইডি দফতরে রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাজিরা উপলক্ষে সকাল থেকেই সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সের বাইরে দেখা যায় পুলিসি তৎপরতা। ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে সিজিয়ো কমপ্লেক্সের গেটের দু-পাশ। উপস্থিত রয়েছে বিধাননগর পুলিসের বিশাল বাহিনী সহ উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। প্রসঙ্গত, সোমবার ৫ জুন রুজিরা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে নোটিস ধরায় ইডি। সেই নোটিসে ৮ জুন হাজিরা দেওয়ার জন্য তলব করা হয় রুজিরা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে। কয়লা পাচার মামলায় অভিষেক পত্নী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান ইডি আধিকারিকরা। সেই কারণেই ৮ জুন সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি দফতরে তাঁকে হাজিরা দেওয়ার জন্য নোটিস ধরায় ইডি। নোটিস ফর অ্যাপিয়ারেন্স বা Summon for Appearence দেওয়া হয় রুজিরা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে। অর্থাত্, সশরীরে হাজিরার নির্দেশ।
উল্লেখ্য, সেদিন সকালেই বিদেশ যাওয়ার পথে দমদম বিমানবন্দরে আটকানো হয় রুজিরা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে। সন্তানদের নিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বিদেশ যাচ্ছিলেন। তাঁর দুবাই যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেইসময়ই বিমানবন্দরে তাঁকে আটকানো হয়। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে আটকানো হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। কিন্তু কী কারণে কেন আটকানো হয় রুজিরা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে? প্রথমে তা স্পষ্ট জানা যায়নি। তবে নির্দিষ্ট কিছু নির্দেশ বা অর্ডার থাকাতেই তাঁকে আটকানো হয়েছে বলে সূত্র মারফত জানা যায়। যদিও, রুজিরা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের বিদেশ যাত্রার ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল। কিন্তু তারপরেও তাঁকে আটকানো হয় বিমানবন্দরে। এরপর ১০টা নাগাদ বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে যান রুজিরা।
পরে জানা যায়, একটা সার্কুলার ছিল। তাই রুজিরা বন্দ্যোপাধ্য়ায় যখন সেদিন সকালে দমদম বিমানবন্দরে পৌঁছন বিদেশ যাত্রার উদ্দেশে, তখন তাঁকে আটকানো হয়। তারপর যখন রুজিরা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্ট বা অভিবাসন দফতরের কাছে ইমিগ্রেশন ক্লিয়ার করতে যান, তখনই তাঁর পাসপোর্ট ডিটেইলস মিলিয়ে দেখা হয়। সূত্রের খবর, সার্কুলারের সঙ্গে ডিটেইলস মেলার পরই অভিবাসন দফতরের তরফে যোগাযোগ করা হয় ইডির সঙ্গে। ইডির কাছে জানতে চাওয়া হয়, কী করণীয়। তারপরই সন্তানদের নিয়ে বিদেশ যাত্রা থেকে আটকানো হয় রুজিরা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে। অন্যদিকে ইডির তরফে সশরীরে হাজিরার নোটিস পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন, ক্ষতিপূরণের মোটা টাকা হাতাতে করমণ্ডলের দুর্ঘটনায় স্বামীর মৃত্যুর মিথ্যে গল্প ফাঁদে স্ত্রী! তারপর...