বিক্রম দাস: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আতস কাঁচের তলায় নগদ লেনেদেন। নগদ লেনদেন কীভাবে হয়েছিল? কার কাছ থেকে টাকা কোথায় গিয়েছিল? তদন্তে সেই নেটওয়ার্ক চেইনের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। এই মর্মেই মানিক-ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলের ২ অ্যাকাউন্ট্যান্টকে তলব করেছে ইডি। দুজনকেই কলকাতায় সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে পাঠানো হয়েছে। ১০ নভেম্বর তাঁদের তলব করা হয়েছে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ইডি সূত্রে খবর, তদন্তকারীরা মনে করছেন প্রাইমারিতে নিয়োগ দুর্নীতিতে বিপুল নগদ লেনদেন হয়েছিল। যার হদিশ রয়েছে তাপস মণ্ডলের কাছে। পাশাপাশি তাপস মণ্ডলের অ্যকাউন্ট্যান্টদের কাছেও। আর সেই কারণেই দুজনকে তলব। নগদ লেনদেনে তাপস মণ্ডলের মহিষবাথানের অফিসের একটা মুখ্য ভূমিকা রয়েছেন বলেও মনে করছেন তদন্তকারীরা। তাদের অনুমান, মহিষবাথানের অফিসেও সম্ভবত নগদের লেনদেন হয়েছে। এই সব সম্ভাবনা-ই খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। আর যার গুরুতূপূর্ণ সূত্র তাপস মণ্ডলের ২ অ্যাকাউন্ট্যান্টকে জেরা করে মিলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।


প্রসঙ্গত, ইডি দফতরে হাজিরা দিতে এসে বিস্ফোরক দাবি করেন তাপস মণ্ডল। লোক পাঠিয়ে তাপস মণ্ডলের কাছ থেকে ঘুষের টাকা তুলতেন মানিক ভট্টাচার্য! এমনই বিস্ফোরক দাবি করেন মানিক-ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল। তিনি বলেন,'মানিক লোক পাঠিয়ে দিতেন। আমার কর্মীরা বলেছে, অফিস থেকে ফাইল ও টাকা যেত। উনি লোক পাঠাতেন মানে ওনার কাছেই যেত। অফলাইনে প্রাপ্য তো দিতেই হত।' তাপস মণ্ডলের কথা থেকেই স্পষ্ট যে অফলাইনে ভর্তির জন্য টাকা তোলা হয়েছিল। 


আরও পড়ুন, Tulu Mandal Arrested: গোরুপাচার মামলায় নাম জড়িয়েছিল, কেষ্টঘনিষ্ট টুলুকে গ্রেফতার করল রাজ্য পুলিস


ইডি দফতরে ঢোকার সময় তাপস মণ্ডল সংবাদমাধ্যমের কাছে বলেন, 'ডকুমেন্টস নিয়ে এসেছি। অফলাইনে যেগুলো বলেছিলেন, সেগুলো চেয়েছেন, সেগুলো দিতে যাচ্ছি। অফিস থেকে উনি লোক পাঠিয়ে দিতেন। আমার কর্মীরা তাই বলেছেন। অফিস থেকে ফাইল এবং টাকা যেত। উনি লোক পাঠাতেন মানে ওনার কাছেই যেত। মানিকবাবু লোক পাঠাতেন। অফলাইনে ফিসটা তো দিতেই হত।' ইডি সূত্রে খবর, ২১ কোটি টাকা তোলা হয়েছিল। ২০১৮ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ২১ কোটি টাকা তোলা হয়েছিল। অফলাইনে ভর্তির জন্য পড়ুয়া পিছু ৫ হাজার টাকা নেওয়া হত।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)