কমলাক্ষ ভট্টাচার্য: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফের তলব করল ইডি। কবে? দিল্লিতে যেদিন ইন্ডিয়া জোটের কো-অর্ডিনেশন কমিটি বৈঠক, সেদিনই! ১৩ সেপ্টেম্বর হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে।  সূত্রের খবর, নির্দিষ্ট দিনে কলকাতায় ইডি-র অফিসে হাজিরা দেবেন অভিষেক। যাবেন না ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে!


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: Trinamoole Nabo Jowar: অভিষেকের নবজোয়ারে এবার 'শোলে' ছাপ!


ইন্ডিয়া জোটের কো-অর্ডিনেশন কমিটিতে অভিষেক। এদিন তিনি নিজেই ট্যুইট করে জানান, '১৩ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে ইন্ডিয়া জোটের কো-অর্ডিনেশন কমিটির বৈঠক, যেখানে আমি সদস্য। কিন্তু ওইদিনই হাজিরার জন্য আমাকে নোটিশ দিয়েছে ইডি। ৫৬ ইঞ্জির ছাতি মডেল কতটা ভীতু, সেটাই প্রমাণ করে'।


 



এর আগে,  অভিষেককে কেন সমন পাঠানো হচ্ছে না? আদালতে প্রশ্নের মুখে পড়ে ইডি-সিবিআই। শুধু তাই নয়, তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে রিপোর্টও তলব করেছে আদালত। বিচারপতি অমৃতা সিনহা বলেন, 'ইডি রিপোর্ট দেখে জানতে পারলাম যে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় একজন সাংসদ, এখনও লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের সিইও আছেন'। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে তাঁর প্রশ্ন, 'একই তথ্যে ভরা রিপোর্ট কেন বার বার দিচ্ছেন'? আগামী ১৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আদালতে রিপোর্ট পেশে নির্দেশ দেওয়া হয় ইডি-সিবিআইকে।


কী প্রতিক্রিয়া রাজনৈতিক মহলে? তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, '২০২৪ সালে মানুষের আর্শীবাদে ইন্ডিয়া জোটের কাছে বিজেপির পরাজয় অবশ্যম্ভাবী। কিন্তু কেন্দ্রীয় এজেন্সি বিজেপির হাতে ব্যবহৃত হতে হতে, নিজেদের মান-সম্মান হারাচ্ছে। আগামিদিনে হৃত গৌরব ফিরে পাবে কিনা, সন্দেহ আছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বাপের ব্যাটা, ভয় পান না। ভারতের অন্য়ন্য নেতা-নেত্রীরা যা বলার ক্ষমতা রাখেন না, যেটা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যা বলতে পারেন যে, তাঁর বিরুদ্ধে যদি কিছু প্রমাণ করতে পারেন, তিনি নিজে ফাঁসি মঞ্চে ঝুলে যাবেন'।


বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যের অবশ্য সাফ কথা, 'আমি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার মুখপাত্র নই। তাদের কার্যালয়টা, আমাদের কার্যালয় নয়। সুতরাং কাকে কখন তদন্তকারী সংস্থা ডাকবে, কেন ডাকবে। সেটা সম্পূর্ণই তাঁদের ব্যাপার। আর এই ডাকাডাকি খেলা দেখতে দেখতে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ ক্লান্ত।  উত্তর দিতে দিতে আমরাও বিরক্ত। তৃণমূল তৃণমূলের কথা বলুক। আমরা চাই তদন্ত দ্রুত শেষ হোক। প্রকৃত দোষীরা সাজা পাক'।



আরও পড়ুন: Sukanta Majumdar: 'লেনিনের এতবড় মূর্তি; ওঁর কী অবদান আছে আমাদের জীবনে, কোনও দরকার নেই এসব থাকার'


সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর মতে, 'ডাকা তো উচিত বটেই, ডাকলে যাওয়া তো উচিত বটেই। কিন্তু বেছে বেছে ১৩ তারিখ ডাকল, যাতে অভিষেক বলতে পারে আমার একটা মিটিং আছে। ইন্ডিয়া জোটকে ভয় পাচ্ছে। এটা তো ইচ্ছা করেই করল'।