Cattle Smuggling Case: জোড়া ফাঁসে এবার কেষ্ট-কন্যা, সুকন্যাকে দিল্লিতে তলব ইডির
ED summons Sukanya Mandal : ৮ বছরে সুকন্যার আয় বেড়েছে প্রায় ১৭৫ গুণ! ২০১৩-১৪ থেকে ২০২১-২২-এর মধ্যে আয় বেড়েছে প্রায় ১৭৫ গুণ। সামান্য প্রাথমিক শিক্ষিকার এই বিপুল আয়বৃদ্ধি কোন জাদুতে?
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো : সিবিআই-ইডি জোড়া ফাঁসে এবার অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে। কেষ্ট-কন্যাকে এবার দিল্লিতে তলব। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এবার সুকন্যা মণ্ডলকে দিল্লিতে ইডি দফতরে ডেকে পাঠানো হল। ২৭ অক্টোবর দিল্লিতে তলব করা হয়েছে কেষ্ট কন্যাকে। উল্লেখ্য, আগেই অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের কোম্পানি এএনএম অ্যাগোরোকেম প্রাইভেট লিমিটেডকে নোটিস পাঠিয়েছে সিবিআই। সূত্রের খবর, আগামী সোমবারের মধ্যে কোম্পানির সমস্ত নথি জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই কোম্পানির ডিরেকটর দুজন। কেষ্ট-কন্যা সুকন্যা মণ্ডল ও কেষ্ট-ঘনিষ্ঠ বিদ্যুৎ বরণ গাইন। দুজনকেই ১৬০ ধারায় নোটিস ধরানো হয়েছে। এককথায় সাঁড়াশি চাপে কেষ্ট-কন্যা।
প্রসঙ্গত, কেষ্ট-কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের আয়কর রিটার্নে মিলেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। প্রাথমিক শিক্ষিকা কেষ্ট-কন্যার সম্পত্তি বেড়েছে রকেট গতিতে। সিবিআই সূত্রে খবর, ৮ বছরে সুকন্যার আয় বেড়েছে প্রায় ১৭৫ গুণ! ২০১৩-১৪ থেকে ২০২১-২২-এর মধ্যে আয় বেড়েছে প্রায় ১৭৫ গুণ। ২০১৯-২০-তে আগের বছরের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। সুকন্যার আয়কর রিটার্ন থেকেই এই তথ্য পেয়েছে সিবিআই। সামান্য প্রাথমিক শিক্ষিকার এই বিপুল আয়বৃদ্ধি কোন জাদুতে? চার্জশিটে প্রশ্ন সিবিআই তদন্তকারীদের।
সুকন্যার আয় বৃদ্ধি
বছর আয় (টাকা)
২০১৩-১৪ ৩ লাখ ৯ হাজার ৩৯৯
২০১৪-১৫ ৮ লাখ ৫৮ হাজার ৬
২০১৫-১৬ ১০ লাখ ১৫ হাজার ৬৬৭
২০১৬-১৭ ৪৯ লাখ ২৪ হাজার ৬২৭
২০১৭-১৮ ৪৯ লাখ ৩২ হাজার ৯৮৮
২০১৮-১৯ ৫১ লাখ ৪১ হাজার ৩২১
২০১৯-২০ ১ কোটি ২৯ লাখ ৪৬ হাজার ৫৯৯
২০২০-২১ ১ কোটি ৪৪ লাখ ৯৪ হাজার ৯০
২০২১-২২ ৯২ লাখ ৯৭ হাজার ৬০০
আরও পড়ুন, Primary TET Scam: আরও 'মানিকের' খোঁজে ৬ জায়গায় তল্লাশি ইডির, মহিষবাথানে মিলল 'মণিমানিক্য'!
সিবিআই সূত্রে খবর, তদন্তে উঠে এসেছে ২০১৫ সালের শেষের দিক থেকে প্রায় প্রত্যেকদিন বীরভূম জেলার কোনও না কোনও ব্যাংকে অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর মেয়ের অ্যাকাউন্টে নগদ জমা হয়েছে। ২০১৫ সাল থেকে এই নগদ জমার পরিমাণ প্রায় ১৫ কোটি! বিভিন্ন ব্যাংকে জমা হওয়া এই নগদের সঙ্গে একমাত্র হাওয়ালা যোগ থাকতে পারে বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা। ব্যাংকে এই টাকা জমা হওয়ার পরই অনুব্রত মণ্ডল মেয়ে সুকন্যা ও নিজের নামে ফিক্সড ডিপোজিট করে। বিভিন্ন সম্পত্তি ও জমি ক্রয় করে। এমনটাই খবর সিবিআই সূত্রে।