Saayoni Ghosh: ৬০ লক্ষের ব্যাঙ্ক ঋণ! গ্রল্ফগ্রিনে ২ টি ফ্ল্যাট, সায়নীর থেকে নথি চাইল ইডি
৫ জুলাই মধ্যে সেই নথি নথি তলব করা হয়। তবে এদিন সায়নীর সাফ বক্তব্য, `যারা চুরি করে তারা পালিয়ে বেড়ায়। আমি কেন পালিয়ে বেড়াব? সশরীরেই হাজিরা দেব। যতবার ডাকবে ততবার যাব। ভোটের প্রচারের মুখে বারবার ডাকায় অসুবিধা তো হচ্ছে। কিন্তু কী করব? আমি একা নই। দলের অনেক নেতাকেই এই পরিস্থিতি ফেস করতে হয়েছে।`
পিয়ালী মিত্র ও অয়ন ঘোষাল: সায়নীর নামে গল্ফগ্রিনে দুটি ফ্ল্যাট। ফ্ল্যাটের জন্য ব্যাঙ্ক ঋণ ষাট লক্ষের। সেভিংস ভেঙে বাকি ২০ লক্ষ দিয়েছেন। জানিয়েছেন সায়নী। ইডি সূত্রে দাবি। কুড়ি লক্ষ কুন্তলের নয় তো? সায়নীর থেকে নথি চাইলেন তদন্তকারীরা। ইডির সূত্রের খবর, সায়নী ঘোষের নামে একটি ৮০ লক্ষ টাকা দামের ফ্ল্যাট রয়েছে। একটি ৩৫ লক্ষ টাকার ফ্ল্যাট রয়েছে তার মায়ের নামে। দুটি ফ্ল্যাটই গল্ফগ্রীনে । ২০২০-২১ সালে কেনা হয় সে দুটি ফ্ল্যাট। এছাড়া পৈত্রিক সূত্র একটি বাড়ি রয়েছে।
আরও পড়ুন, Saayoni Ghosh: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ম্যারাথন জেরা ইডি-র, সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরোলেন সায়নী
ইডির কাছে সায়নী ঘোষের দাবি, তার নামে থাকা ৮০ লক্ষ টাকা দামের ফ্ল্যাটটির জন্য ৬০ লক্ষ টাকা ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নেন তিনি। যদিও ওই ফ্ল্যাট কেনার সময় বুকিং বাবদ যে ২০ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়, তা কুন্তলের থেকে তিনি পেয়েছিলেন বলে অনুমান তদন্তকারীদের। যদিও তা অস্বীকার করেন সায়নী। তাঁর দাবি, বাকি ২০ লক্ষ টাকা তাঁর এবং পরিবারের জমানো টাকা থেকে দিয়েছিলেন।
কিন্তু সায়নী এই দাবি কতটা সত্য তা নিশ্চিত হতে যাবতীয় ব্যাঙ্ক ঋণ সংক্রান্ত নথি, কে ঋণ শোধ করছে, ব্যাঙ্কের ঋণ ছাড়া অন্য কারও ঋণ নিলে থাকলে তার প্রমাণ্য নথি, সেভিংস ভেঙে টাকা দিয়েছেন বলে যে দাবি করছেন সেই সংক্রান্ত নথি জমা দিতে বলা হয়েছে। ৫ জুলাই মধ্যে সেই নথি নথি তলব করা হয়। তবে এদিন সায়নীর সাফ বক্তব্য, 'যারা চুরি করে তারা পালিয়ে বেড়ায়। আমি কেন পালিয়ে বেড়াব?'
সায়নী বলেন, '৫ জুলাই আবার যাব। সশরীরেই হাজিরা দেব। যতবার ডাকবে ততবার যাব। ভোটের প্রচারের মুখে বারবার ডাকায় অসুবিধা তো হচ্ছে। কিন্তু কী করব? আমি একা নই। দলের অনেক নেতাকেই এই পরিস্থিতি ফেস করতে হয়েছে। একটা বড় শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতে গেলে এরকম পরিস্থিতি আসেই। দল পাশে আছে। গতকাল অত্যন্ত সৌজন্যমুলক ব্যবহার করেছেন ইডির অফিসাররা। আরও কিছু নথি বাকি রয়ে গেছে। নিয়ে যেতে বলা হয়েছে। আমি কারুর ছবি বা পোস্টার ফেলে দিইনি। কেউ প্রমাণ দিক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমার ফোনের নয়, মনের ওয়াল পেপারে আছেন।'
আরও পড়ুন, Partha Chatterjee: পার্থর হাতে আংটি, প্রেসিডেন্সি জেল সুপারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের থানায়