নিজস্ব প্রতিবেদন: মৃত্য়ুর পর কেটে গিয়েছে ২ মাস। হাইকোর্টের নির্দেশে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত হল। কিন্তু দেহটি কি আদৌও বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের? ডিএনএ টেস্টের আর্জি জানিয়ে এবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে চিঠি দিলেন মৃতের দাদা। দাবি করলেন, এতটাই পচন ধরে গিয়েছে যে, ভাইয়ের দেহ শনাক্ত করতে পারেননি। এমনকী, ওই দেহটি অন্য কারও বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ঘটনার সূত্রপাত ২ মে। ভোট ফল ঘোষণার পরই কাঁকুড়গাছিতে উদ্ধার হয় বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের দেহ। দলের ট্রেড ইউনিয়নের নেতা ছিলেন তিনি। পরিবারের অভিযোগ, রাজনৈতিক কারণেই খুন করা হয়েছে অভিজিৎ-কে। কারা খুন করল? অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। গেরুয়াশিবিরের দাবি, শাসকদলের মদতেই তাদের দলের কর্মীকে খুন করেছে দুষ্কৃতীরা। বেধড়ক মারধরের পর, গলায় তার পেচিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে অভিজিৎ-কে। 


আরও পড়ুন: বিনা কারণে একটি শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে হিংসাত্মক করে তোলা হল: দিলীপ ঘোষ


এদিকে রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় রাজ্য সরকারের ভূমিকার কড়া সমালোচনা করেছে হাইকোর্ট। অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্য জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে সাত সদস্যের কমিটি গঠন করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। রিপোর্ট জমা পড়ার পর হাইকোর্টে অন্তর্বর্তীকালীন রায়, পুলিসকে সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখতে হবে। আক্রান্তদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। এমনকী, দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত করতে হবে বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের দেহেরও। 



আরও পড়ুন: একে দেবাঞ্জন কাণ্ড, সঙ্গে দোসর BJP-র কর্মসূচি, KMC-তে এসে নাজেহাল সাধারণ মানুষ


এদিন আলিপুর কমান্ড হাসপাতালে বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারে দেহে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত হল। তাঁর দেহ শনাক্ত করার জন্য হাজির ছিলেন পরিবারের লোকেরা। ছিলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্য়রাও। মর্গ থেকে বেরিয়ে মৃতের দাদা বলেন, 'ভাইয়ের দেহটি সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা হয়নি। বরং প্রমাণ লোপাটের জন্য দেহে যাতে দ্রুত পচন ধরে যায়, সেই চেষ্টা চালাচ্ছে রাজ্য সরকার'।  দেহটি কি শনাক্ত করলেন? অভিজিৎ সরকারের দাদার দাবি, 'এতটাই পচন ধরে গিয়েছিল যে, ভাইকে চিনতে পারেননি তিনি'। শুধু তাই নয়,  অন্য কারও দেহে ময়নাতদন্ত করার অভিযোগে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিদের চিঠি দিয়েছেন তিনি। দাবি জানিয়েছেন ডিএনএ টেস্টেরও।