Lake Club Death: `দু-তিনটে দমকা হাওয়া, দেখলাম ওদের বোটটা উল্টে গেল`, লেকের ঘটনায় অতিরিয়ার `শিউরে` দেওয়া বিবরণ
ঘটনার সময় পূষণ ও সৌরদীপের পাশের রোয়িং বোটেই ছিলেন অতিরিয়া দাশগুপ্ত। রবীন্দ্র সরোবরে (Rabindra Sarobar) রোয়িং করতে গিয়ে ওই দিন ঝড়ের মুখে পড়েছিলেন তিনিও। কিন্তু কোনওক্রমে সাঁতরে পাড়ে ফেরেন তিনি। তবে ফিরতে পারেনি পূষণ ও সৌরদীপ। অঘোরে চলে যায় দুটো তরতাজা প্রাণ।
নিজস্ব প্রতিবেদন: কালবৈশাখীর (Kalbaishaki) মাঝে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। শনিবার ঝড়ের সময় কলকাতার (Kolkata) রবীন্দ্র সরোবরে (Rabindra Sarobar) রোয়িং করতে গিয়ে তলিয়ে যায় ২ কিশোর- পূষণ সাধুখাঁ ও সৌরদীপ চট্টোপাধ্য়ায়। শেষে দু'জনের নিথর দেহ উদ্ধার হয়। এরপর বিভিন্ন মহল থেকে, বিভিন্ন প্রশ্ন উঠতে থাকে। ক্লাব কর্তৃপক্ষ এবং স্কুলের দিকে অভিযোগের ওঠে। কিন্তু ওই সময় ঠিক কী ঘটেছিল? কীভাবে ঘটল ঘটনা? Zee ২৪ ঘণ্টাকে জানালেন প্রত্যক্ষদর্শী অতিরিয়া দাশগুপ্ত এবং তাঁর মা শাঁওলি দাশগুপ্ত।
ঘটনার সময় পূষণ ও সৌরদীপের পাশের রোয়িং বোটেই ছিলেন অতিরিয়া দাশগুপ্ত। রবীন্দ্র সরোবরে (Rabindra Sarobar) রোয়িং করতে গিয়ে ওই দিন ঝড়ের মুখে পড়েছিলেন তিনিও। কিন্তু কোনওক্রমে সাঁতরে পাড়ে ফেরেন তিনি। তবে ফিরতে পারেনি পূষণ ও সৌরদীপ। অঘোরে চলে যায় দুটো তরতাজা প্রাণ।
Zee ২৪ ঘণ্টাকে অতিরিয়া বলে, "আমরা যখন যাচ্ছিলাম, তখ ওরা ফিরছিল। ঘটনার সময় ওরা লেক ক্লাব থেকে ৫৫০ মিটার দূরে ছিল। আমরা যখন ওদের ক্রশ করব তখনই হাওয়াটা দিল এবং যা দুর্ঘটনা ঘটার ঘটল। ঝড়ের কোনও সম্ভাবনাই ছিল না। হঠাৎ একটা ঝটকা হাওয়া আসল। আমরা তখনই ভাবলাম, না আর থাকা যাবে না। বোট তুলে নিতে হবে। আমরা বোটটা সবেমাত্র ঘুরিয়েছি, সঙ্গে সঙ্গে একটা ঝটকা হাওয়া দিল। ঢেউয়ের বিপরীতে ছিল হাওয়াটা। সমুদ্রে যেমন ঢেউ হয়, তেমন ঢেউ ছিল। সঙ্গে তুমুল বৃষ্টি। ঠান্ডা কাঁচের মতো গায়ে বিঁধছিল। দৃশ্যমানতা কমে গিয়েছিল। দু-তিনটে দমকা হাওয়ার পরেই, আমি দেখি ওদের বোটটা উল্টে গেল। আমার থেকে ২০ মিটার দূরে ছিল।" অতিরিয়ার কথায়, "ওই সময় প্যানিক অ্য়াটাক হওয়া স্বাভাবিক। আমাদেরও ভয় করেছিল। কোনও মতে একটা গাছের ডাল ধরে প্রাণে বাঁচি।" শনিবার, ঘটনার দিন সঙ্গে কোনও ফলো বোট ছিল না বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।
এখনও ঘটনার আকস্মিকতা কাটাতে পারেননি অতিরিয়া দাশগুপ্ত। তিনি বলেন, "আমি রাতে ঘুমতে যাচ্ছি বা পড়তে বসছি, মনে হচ্ছে ওঁরাও এগুলো করত। প্রথম দিকে খুব মনে হচ্ছিল, আমরা কি বাঁচাতে পারতাম ওদের?"
ঘটনার দিন পাড় থেকে সমস্ত ঘটনা দেখেছিলেন অতিরিয়া দাশগুপ্তের মা শাঁওলি দাশগুপ্ত। ফেসবুকেও ঘটনার কথা লিখেছিলেন। Zee ২৪ ঘণ্টাকে তিনি জানান, "তিনটে ক্লাবের মাঝিরা ঝড় ওঠার সঙ্গে সঙ্গে খুঁজতে বেরিয়ে গিয়েছিল। আমরা খুব আশাবাদী ছিলাম। মাঝিরা তন্নতন্ন করে খুঁজেছিল।"