নিজস্ব প্রতিবেদন: বেশ ছক কষেই প্রতারণার ফাঁদ পেতেছিলেন দেবাঞ্জন দেব। ধরা পড়ে যাওয়ার আশঙ্কায় প্রতারণা তথ্যও মিটিয়ে দিয়েছিলেন ভুয়ো IAS। হোয়াটসঅ্যাপ থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ চ্যাট ডিলিট করে দিয়েছিলেন তিনি। তবে ভাগ্য খারাপ থাকলে যা হয়! তাঁর ফোনে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যাকআপ অন ছিল। সেই ব্যাকআপ থেকেই বহু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতে পেলেন তদন্তকারীরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রবিবারই দেবাঞ্জনের মাদুরদহের বাড়িতে তল্লাশি চালায় পুলিস। ধৃতের বাড়ি ও অফিস তেকে উদ্ধার হয়েছে তিনটি অ্যান্ড্রয়েড ফোন, একটি ল্যাপটপ ও ৫টি হার্ড ডিস্ক। পুলিস সূত্রে খবর, বাজেয়াপ্ত হওয়া তিনটি ফোন আলাদা আলাদা কারণে ব্যবহার করতেন প্রতারক দেবাঞ্জন দেব। ইতিমধ্যে ২টি ফোনের কিছু হোয়াটঅ্যাপ চ্যাট হাতে এসেছে তদন্তকারীদের। হোয়াটসঅ্যাপের সেই চ্যাট ডিলিট করে দিয়েছিলেন দেবাঞ্জন। তবে ফোনের ব্যাকআপ অন থাকায়, সেই কথোপকথন পুনরুদ্ধার করেন তদন্তকারীরা এবং সেই চ্যাট ঘেঁটে বহু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছেন তাঁরা। কার কার সঙ্গে কী কী বিষয়ে দেবাঞ্জনের কথাবার্তা হয়েছে? এই বিষয়ে বহু তথ্য নাগালে এসেছে পুলিসের।      


আরও পড়ুন: এলাকা দখকে ঘিরে একবালপুরে দফায় দফায় সংঘর্ষ, পুলিসকে লক্ষ্য করে চলল গুলি, গ্রেফতার ৫


আরও পড়ুন: Weather Update: কলকাতায় হালকা বৃষ্টি, উত্তরে বাড়বে নদীর জলস্তর, নিচু এলাকায় প্লাবনের আশঙ্কা


এছাড়া বাজেয়াপ্ত হওয়া হার্ড ডিস্ক থেকেও প্রচুর ছবি ও ভিডিও পেয়েছেন তদন্তকারীরা। বহু বিখ্যাত ব্যক্তি এবং রাজনৈতিক ব্যক্তির সঙ্গে নিজের ছবি সেই হার্ড ডিস্কে রেখে দিয়েছিলেন দেবাঞ্জন। পুলিসের অনুমান এই ছবি দেখিয়ে প্রতারণা করতেন দেবাঞ্জন। পুলিস জানতে পেরেছে, শুরুর দিকে তার টার্গেট চাকরিপ্রার্থীরা হলেও, পরে প্রমোটরদের সঙ্গে জালিয়াতি করতে শুরু করেন দেবাঞ্জন। কলকাতা কর্পোরেশন থেকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার নাম করে, বহু প্রমোটরের থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন তিনি। নিজেকে কর্পোরেশনের জয়েন্ট কমিশনার বলে প্রতারণা করতেন তিনি। ইতিমধ্যে তিনজন প্রমোটর পুলিসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। অভিযোগ তাঁদের থেকে যথাক্রমে ৪০ লক্ষ, ৩০ লক্ষ এবং ২৫ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন ভুয়ো আইএএস দেবাঞ্জন দেব।