সুতপা সেন ও কমলিকা সেনগুপ্ত


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে বিজেপিকে বিঁধলেন ফারুক আবদুল্লা। একইসঙ্গে মহাজোটের প্রয়োজনীয়তার কথাও স্মরণ করিয়ে দিলেন জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। ফারুক আবদুল্লার কথায়,''দেশের পরিস্থিতি খুব খারাপ। একজোট হওয়া দরকার''। এমনকি বাংলায় বিজেপির রথযাত্রার কী দরকার? সেই প্রশ্নও তোলেন আবদুল্লা।  


নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার আগে ভারত চেম্বার অব কমার্সের একটি আলোচনাসভায় যোগ দেন ফারুখ আবদুল্লা। ওই অনুষ্ঠানে কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতির মোকাবিলায় পাকিস্তানের সঙ্গে শান্তি সংলাপের কথা মনে করিয়ে দেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ''পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা ছাড়া আর কোনও পথ নেই। প্রতিদিন কাশ্মীরের মানুষকে যন্ত্রণার মধ্যে কাটাতে হচ্ছে। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। গুলি করে হৃদয় জেতা যায় না। মুশারফ ক্ষমতায় থাকলে বিষয়টি নিষ্পত্তি হতে পারত। ২০১৯ যে-ই ক্ষমতায় আসুক, আশা করি সমস্যার সমাধান হবে''। ভারত সরকার অবশ্য স্পষ্ট জানিয়েছে, সন্ত্রাসে মদত দেওয়া বন্ধ না করলে ইসলামাবাদের সঙ্গে কোনওরকম আলোচনায় বসবে না নয়াদিল্লি।  



বঙ্গীয় রাজনীতিতে রথযাত্রা নিয়ে শাসক-বিজেপির চলতি মল্লযুদ্ধের কথাও অজানা নয় ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতার। তাঁর প্রশ্ন, বাংলায় বিজেপির রথযাত্রার কী দরকার? কংগ্রের সভাপতির নেতৃত্বের তারিফ শোনা গিয়েছে আবদুল্লার গলায়। তিনি বলেন, ''যুবকদের সুযোগ দেওয়া উচিত। তিনটি রাজ্য জেতার পর আর পাপ্পু নয়, উনি এখন রাহুল গান্ধী''।           


এদিন নবান্নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও দেখা করেন ফারুখ আবদুল্লা। তাঁর কথায়, ''দেশের পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ। এখন সবাইকে একজোট হতে হবে''।



বলে রাখি, ২০১৯ সালে মহাজোটের শরিক হতে পারে ফারুক আবদুল্লার দলও। এদিন ১৯ জানুয়ারি তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশে ফারুক আবদুল্লাকে আসার আমন্ত্রণ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই সভামঞ্চে বিরোধী ঐক্য দেখাতে চাইছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। 


আরও পড়ুন- অবিজেপি-অকংগ্রেসি জোটের লক্ষ্যে মমতার দরবারে আসছেন কেসিআর