প্রেসিডেন্সির চার দেওয়ালে কীভাবে রাত কাটালেন সুব্রত, ফিরহাদ?
ভোররাতে অসুস্থ হওয়ায় এসএসকেএম হাসপাতালে আনা হয় মদন-শোভনকে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বাড়ি থেকে হঠাৎ গ্রেফতার করে সিবিআই। জামিন হয়েও, হয়নি। অতএব সোমবার রাতে ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের ঠিকানা হয় প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার। সেখানে দুই মন্ত্রীর প্রথম রাত কীভাবে কাটলো?
আরও পড়ুন: 'ওঁর ওষুধ, ওঁর সব কিছু আমার কাছে,' প্রেসিডেন্সির দুয়ারে ভেঙে পড়লেন শোভনের বৈশাখী
সোমবার রাত দেড়টা নাগাদ নিজাম প্যালেসের সিবিআই দফতর থেকে প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যাওয়া হয় ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। ভোর রাতে অসুস্থ হয়ে পড়ায় মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়কে এসএসকেএম-এ ভর্তি করা হয়। ফলে রাত থেকে সকাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে থাকেন শুধুমাত্র ফিরহাদ ও সুব্রত। সোমবার রাতে নিজাম প্যালেস থেকে বেরনোর সময়ই কান্নায় ভেঙে পড়েন ফিরহাদ হাকিম।
আরও পড়ুন: নারদকাণ্ডে এবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ অভিযুক্তেরা, বুধবার মামলার শুনানি
সংশোধনাগার সূত্রে খবর, গোটা রাত না ঘুমিয়েই কাটিয়েছেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী। মঙ্গলবার সকালে দুজনে চা-বিস্কুট খান। সকাল সাড়ে ৯টায় বাড়ি থেকে আসা ব্রেকফাস্ট খান ফিরহাদ। দুপুরে খান বাড়ি থেকে আসা খাবার। বাড়ির কর্তা সংশোধনাগারে। ফলে চিন্তায় ফিরহাদপত্নী। এদিন দুপুরে পরিবহন মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে সংশোধনাগারে যান তিনি। তবে, নিয়মের জাঁতাকলে দেখা হয়নি। বিষন্ন মনেই ফিরতে হয়। সোমবারের তুলনায় মঙ্গলবার অনেকটা সাবলীল ফিরহাদ হাকিম, সংশোধনাগার সূত্রে এমনটাই খবর। দুপুরে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যান কলকাতা কর্পোরেশনের প্রশাসনিক বোর্ডের সদস্য অতীন ঘোষ। ফিরহাদের হাকিমের সঙ্গে তাঁরও সরাসরি কথা হয়নি। সুপার মারফৎ মন্ত্রীর কাছে নিজের বক্তব্য জানান তিনি। পালটা বক্তব্যে, কলকাতা পুরসভার করোনা সংক্রান্ত বিভাগের নোডাল অফিসার হিসেবে অতীন ঘোষকে সমস্ত বিষয় বুঝিয়ে দেন ফিরহাদ।
আরও পড়ুন: শুভেন্দু-মুকুল গ্রেফতার নয় কেন? নারদ কাণ্ডে জনস্বার্থ মামলায় নয়া সংযোজন
ভোররাতেই প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার অসুস্থ হয়ে পড়েন মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়। এসএসকেএমের উডবার্নে ভর্তি করা হয় তাঁদের। হাসপাতাল সূত্রে খবর, মদন মিত্রকে অক্সিজেন দিতে হয়। তাঁর কোভিড পরীক্ষা হয়। হয় চেস্ট এক্স-রে। মঙ্গলবার দুপুরে হাসপাতালে মদন মিত্রকে দেখতে আসেন তাঁর ছেলে শুভরূপ মিত্র। তাঁর অভিযোগ, সদ্য করোনা থেকে সেড়ে উঠেছেন মদন মিত্র। সিবিআই-কে বারবার একথা জানানোর পরেও, শোনা হয়নি। অন্যদিকে, এসএসকেএম-এ ভর্তি নেতাদের চিকিৎসায় ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে ৪ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড। মেডিক্যাল বোর্ডে রয়েছেন ডাক্তার সৌমিত্র ঘোষ, ডাক্তার সরোজ মণ্ডল, ডাক্তার সোমনাথ কুণ্ডু এবং ডাক্তার সুজয় ঘোষ।