নিজস্ব প্রতিবেদন: সংবাদমাধ্যমের দৌলতে ইতিমধ্যেই রাজ্যবাসী জেনে গিয়েছেন যাবদপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়র ওপরে হামলা করেছে দেবাঞ্জনবল্লভ চট্টোপাধ্যায়। বাবুলের চুল ধরে টানার ছবি প্রকাশিত হয়েছে সংবাদমাধ্যমে। এতেই আতঙ্কে কাঁটা দেবাঞ্জনবল্লভ চট্টোপাধ্যেয়ের মা রূপালি চট্টোপাধ্যায়। আতঙ্ক ছড়িয়েছে বর্ধমানে তাঁর পাড়াতেও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-টাউনশিপের রাস্তায় ঘোরাফেরা করছিল পূর্ণবয়স্ক প্যাঙ্গোলিন, উদ্ধার করল পশুপ্রেমী সংগঠন


ক্যান্সারে আক্রান্ত রূপালি চট্টোপাধ্যায়। রোগের চিন্তা ছিলই। তার পরে যোগ হল ছেলের এই কাণ্ড। বাবুলের কাছে তাঁর কাতর আবেদন, উনি যেন আমার ছেলেকে কোনও রাজনীতিতে না জড়ান। ছোট ছেলে ভুল করে ফেলেছে। অনেক কষ্ট করে ওকে বড় করে তুলেছি। দেখতে চাই ও জীবনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ওর জন্যই বাঁচতে চাই। আর আমার কিছু পাওয়ার নেই। বাবুলের কাছে অনুরোধ, ওর পড়াশোনার জীবন যেন শেষ না হয়ে যায়। একজন ক্যান্সার আক্রান্ত মায়ের কথা ভেবে উনি আমার ছেলেকে ক্ষমা করে দিন।



— Babul Supriyo (@SuPriyoBabul) September 21, 2019


আরও পড়ুন-নিরাপত্তার ঘোরাটোপে রাজধানী, নয়ডা থেকে দিল্লির পথে আজ হাজার হাজার বিক্ষুব্ধ কৃষক


এদিকে, দেবাঞ্জনবল্লভ চট্টোপাধ্যের মায়ের আর্তির ভিডিয়োটি টুইট করেছেন বাবুল সুপ্রিয়। রূপালি চট্টোপাধ্যায়কে তাঁর বার্তা, চিন্তা করবেন না মাসিমা। আমি কোনও ক্ষতি করব না আপনার ছেলের। ওর ভুল থেকে ও শিক্ষা নিক। এটাই চাই। আমি নিজে কারও বিরুদ্ধে কোনও এফআইআর করিনি। আপনি দুঃশ্চিন্তা করবেন না। তাড়াতাড়ি সেরে উঠুন।



উল্লেখ্য, বাবুল সুপ্রিয়কে যাদবপুরে চড় মারার ছবিও ক্যামেরাবন্দি হওয়ার পর থেকেই ফেসবুক-টুইটারে সরব বাকেন্দ্রীয় মন্ত্রী। একাধিক ভিডিও ফুটেজ এবং স্টিল ছবি পোস্ট করেছেন তিনি। বিক্ষোভকারীদের দিকে আঙুল তুলেছেন।


বাবুলের পোস্ট করা ছবিতে দেখা যাচ্ছে, দেবাঞ্জনবল্লভ চট্টোপাধ্যায় নামে নীল-সাদা স্ট্রাইপড শার্টের ছেলেটি তাঁর চুল ধরে টানছেন। পাশে রয়েছেন শৌর্যদীপ্ত সেনগুপ্ত। দু-জনের কেউই যাদবপুরের পড়ুয়া নন। দু-জনই অতি বাম ছাত্র সংগঠন USDF সদস্য। অন্য একটি ছবিতেও সামনে থেকে দেবাঞ্জনকে বাবুলের চুল ধরে টানতে দেখা গিয়েছে।