নিজস্ব প্রতিবেদন: একদিকে ভুয়ো IAS দেবাঞ্জন দেবের প্রতারণার নিত্যনতুন কীর্তি যখন রোজ খবরের শিরোনামে, তখন প্রকাশ্যে এল আরও এক প্রতারণা। এবার মানবাধিকার কমিশনের নাম করে প্রতারণার অভিযোগ। বাঁশদ্রোণী থানায় অভিযোগ দায়ের। অভিযুক্ত বাপ্পাদিত্য সাহা নামে এক ব্যক্তি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পায়রাডাঙার বাসিন্দা সৌভিক দেবনাথ। ২০২০-র নভেম্বর মাসে বিয়ে করেন তিনি। কিন্তু কয়েকদিনের মাথায় স্ত্রীর সঙ্গে মতবিরোধ শুরু হয়। স্ত্রী তাঁকে ছেড়ে চলে যায়। স্ত্রীর কাছে বিবাহবিচ্ছেদ চান তিনি। তখনই এক বন্ধু মারফৎ বাপ্পাদিত্য সাহা নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে পরিচয় হয় সৌভিক দেবনাথের। নিজেকে রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের চিফ সেক্রেটরি হিসেবে পরিচয় দেন ওই ব্যক্তি। জানান, তাঁর স্ত্রী মানবাধিকার কমিশনের স্টেট প্রেসিডেন্ট।


আরও পড়ুন: Bankim Chandra: জীবনের প্রত্যুষেই তাঁকে তাড়া করে ফিরত 'এ জীবন লইয়া কী করিব'র দীপ্ত-ভাবনা!


আরও পড়ুন: ভুয়ো ভ্যাকসিন ইস্যুতে পথে বামেরা, KMC-স্বাস্থ্যভবনের সামনে জোড়া বিক্ষোভ


অভিযোগ বিবাহবিচ্ছেদ করিয়ে দেওয়ার বিনিময়ে সৌভিক দেবনাথের থেকে ৫ লক্ষ টাকা দাবি করেন অভিযুক্ত বাপ্পাদিত্য সাহা। চলতি মাসের ১৫ তারিখ তাঁকে ২ লক্ষ টাকা দেন সৌভিক বাবু। টাকা নিয়ে মানবাধিকার কমিশনের লোগো দেওয়া একটি রিসিট কপিও দেন অভিযুক্ত। অভিযোগ, এরপর থেকেই বেপাত্তা বাপ্পাদিত্য সাহা। সৌভিক দেবনাথের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ রাখেনি। এমনকি রবিবার নিজের লোকজনকে দিয়ে সৌভিক দেবনাথকে মারধর করেন।


এরপরই প্রতারণার বিষয়টি মাথায় আসে সৌভিক সাহার।  সোমবার বাঁশদ্রোণী থানায় এই মর্মে একটি অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। সৌভিক বাবুর আশঙ্কা, টাকা নিয়ে তাঁকে দেওয়া রিসিটটিও হয়ত জাল। সেখানে মানবাধিকার কমিশনের যে লোগো ব্যবহার করা হয়েছে, তাও হয়ত ভুয়ো। এমনকি অভিযুক্তের নামও হয়ত বাপ্পাদিত্য নয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।