1/10
2/10
photos
TRENDING NOW
3/10
ছোট থেকেই বঙ্কিম ক্ষুরধার মেধার অধিকারী। পাঁচ বছর বয়সে কুল-পুরোহিত বিশ্বম্ভর ভট্টাচার্যের কাছে বঙ্কিমচন্দ্রের হাতেখড়ি হয়। বঙ্কিমের কনিষ্ঠ সহোদর পূর্ণচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় লিখেছেন, 'শুনিয়াছি বঙ্কিমচন্দ্র একদিনে বাংলা বর্ণমালা আয়ত্ত করিয়াছিলেন।' যদিও গ্রামের পাঠশালায় বঙ্কিম কোনওদিনই যাননি। পাঠশালার গুরুমশাই রামপ্রাণ সরকার বাড়িতে তার গৃহশিক্ষক নিযুক্ত হয়েছিলেন।
4/10
১৮৫৮ সালে প্রথমবারের মতো বি.এ. পরীক্ষা নেওয়া হয়। মোট দশজন ছাত্র এ পরীক্ষা দিয়েছিলেন। উত্তীর্ণ হয়েছিলেন কেবলমাত্র বঙ্কিমচন্দ্র ও যদুনাথ বসু। বঙ্কিমচন্দ্রের দু'টি বিবাহ। প্রথম বিয়ে হয় ১৮৪৯ সালে। তখন তার বয়স ছিল ১১ বছর। নারায়ণপুর গ্রামের এক পঞ্চমবর্ষীয়ার সঙ্গে বিয়ে। কিন্তু চাকুরি জীবনের শুরুতে যশোর অবস্থান কালে ১৮৫৯ সালে এ পত্নীর মৃত্যু হয়। পরে ১৮৬০ সালের জুনে হালিশহরের বিখ্যাত চৌধুরী বংশের কন্যা রাজলক্ষ্মী দেবীর সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। ১৮৫৮ সালেই তাঁর কর্মজীবন শুরু। ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ও ডেপুটি কালেক্টর হিসেবে তিনি যশোর জেলায় কাজে যোগ দেন। ওই বছরের অগস্টে। কর্মজীবন থেকে অবসরগ্রহণ ১৮৯১ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর। ১৮৯৪ সালের (বাংলা ২৬ চৈত্র ১৩০০ সাল) ৮ এপ্রিল মৃত্যু।
5/10
কিন্তু এই সালতামামি দিয়ে বঙ্কিমকে বোঝা কঠিন। সারাজীবন ঘুরে ঘুরে কাজ। উচ্চ পদে দারুণ দায়িত্বের কর্মভার তাঁর। এর উপর স্বাভাবিক সংসারজীবন যাপনের ধাপচাপ তো ছিলই। এত কিছুর পরেও তিনি সারা জীবন ধরেই সাহিত্যের যে সুউচ্চ সৌধ নির্মাণ করেছিলেন তার তুলনা তিনিই। তিনি শুধু বাংলাসাহিত্য তো নয়, সামগ্রিক ভাবে আধুনিক ভারতীয় সাহিত্যেরই প্রাণপুরুষ, দীক্ষাপুরুষ, উদগাতা ও পিতৃপুরুষ তিনিই।
6/10
7/10
8/10
9/10
বঙ্কিম সারাজীবন নানা জেলায় কাজ করেছেন। কখনও মুর্শিদাবাদ, কখনও মেদিনীপুর, কখনও হাওড়া। কিন্তু তাঁর অক্লান্ত মেধা-চর্চায় কোনও বাধা পড়েনি। ধর্মতত্ত্বের আলোচক হিসেবেও প্রখ্যাত। তাঁর ক্ষুরধার মেধা যা স্পর্শ করেছে সেটাই হীরকদ্যুতিতে প্রতিভাত হয়েছে। অনন্য রসবোধের অধিকারী বঙ্কিম জীবন-সমাজ-ইতিহাস সব কিছুকেই গভীর চিন্তার আলোয় দেখেছিলেন। আর আমাদের সমৃদ্ধ করেছেন। কিন্তু আমরা কি তাঁকে নিয়ে যথোচিত চর্চায় মগ্ন?
10/10
বঙ্কিমকে নিয়ে বাঙালি চর্চা করে বটে। তবে তেমন সাড়া-জাগানো নয়।। এ কালের বাঙালি বঙ্কিমকে ঠিক মনেও কি রেখেছে? বঙ্কিম দুঃখ করেছিলেন, বাঙালির ইতিহাস নেই বলে। তিনি দাবি করেছিলেন বাঙালির ইতিহাস চাই। নইলে বাঙালি কখনও মানুষ হবে না। তিনি লিখেছিলেন,'এমন দুই এক হতভাগ্য জাতি আছে যে, কীর্তিমন্ত পূর্বপুরুষগণের নাম অবগত নহে। সেই হতভাগ্য জাতিদিগের মধ্যে অগ্রগণ্য বাঙ্গালী'। আজও কি তাঁর আক্ষেপের দিন অপগত হয়েছে? আজও কি বাঙালি ঠিক সেই অর্থে ইতিহাসসচেতন, ইতিহাসপ্রাণিত, ইতিহাসসন্ধানী?
photos