গড়িয়াহাটে বৃদ্ধা খুনে গ্রেফতার পুত্রবধূ, তাঁর প্রেমিক ও নাতনি
বৃদ্ধা খুনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই কিনারা করল কলকাতা পুলিস।
বিক্রম দাস ও সুকান্ত মুখোপাধ্যায়: ২৪ ঘন্টাও কাটেনি। তার আগেই গড়িয়াহাট খুনের কিনারা করে ফেলল পুলিস। বৃদ্ধা খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে পুত্রবধূ ও নাতনিকে। পঞ্জাবে পাকড়াও পুত্রবধূর প্রেমিক সৌরভ পুরী। সম্পত্তির লোভেই বৃদ্ধাকে খুন করা হয়েছে বলে দাবি পুলিসের।
গড়িয়াহাটের গরচা ফার্স্ট লেনের বাসিন্দা বৃদ্ধা উর্মিলা ঝুন্ডে খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। ফেরে শহরে একাকী বৃদ্ধ খুনের ঘটনা। খুনের কারণ নিয়ে উঠে আসছিল একাধিক প্রশ্ন । নৃশংস ভাবে খুন করা হয়েছিল বৃদ্ধাকে। কিন্তু কোনও গোঙানি বা চিত্কারের আওয়াজ পায়নি কেউ। আর এটাই মূল চাবিকাঠি হয়ে ওঠে পুলিসি তদন্তে। এত নৃশংসতা। কেবলমাত্র লুঠের উদ্দেশে ? পুলিস পারিবারিক বিষয়টিও খতিয়ে দেখেন আর তাতেই জালে পড়ে অভিযুক্ত।
মৃত উর্মিলা ঝুণ্ডের দুই ছেলে বলরাজ ও মনদীপ। পারিবারিক ব্যবসা চালাতো দুই ভাই মিলে। মনদীপ মারা যাওয়ার পর ঠিক হয়, মনদীপের স্ত্রী ডিম্পলকে মাসে লাভ্যাংশ থেকে ফিক্সড অ্যামাউন্ট মাসোহারা দেওয়া হবে। কিন্তু ডিম্পলের দাবি ছিল অতিরিক্ত টাকার। ডিম্পল চেয়েছিল পারিবারিক সম্পত্তি ভাগ বাটোয়ারা হোক। এছাড়া শাশুড়ি উর্মিলার সঙ্গে ডিম্পলের ব্যাঙ্কে একটি জয়েন্ট লকার ছিল। সেই লকারের চাবি ডিম্পলকে দিতেন না উর্মিলা।
পুলিস জেরা করে পুত্রবধূ ডিম্পল ও ডিম্পলের ১৮ বছরের মেয়ে কালিকা ঝুন্ডকে। তারপরেই গ্রেফতার করা হয় দু'জনকে। জেরায় উঠে এসেছে এক যুবকের নাম। নাম সৌরভ পুরী। পুত্রবধূ ডিম্পলের প্রেমিক। জেরায় জানা যায় ঘটনার সময় উপস্থিত ছিল না ডিম্পল। তবে খুনের আগে বৃদ্ধার সঙ্গে ডিম্পলকে মোবাইল ফোনে কথা বলানো হয়। বৃদ্ধার ধড় থেকে মুণ্ড আলদা করে দেয় সৌরভ। দ্রুত ঘটনার কিনারা হওয়ায় টুইট করেন পুলিস কমিশনার অনুজ শর্মা। টুইট করেন, ২৪ ঘণ্টায় গড়িয়াহাটের বৃদ্ধা খুনের কিনারা করল কলকাতা পুলিস। খুনের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে বৃদ্ধার নাতনি ও বউমাকে।
পুত্রবধূ ও নাতনিকে জেরায় সৌরভের গতিবিধি জেনে যায় পুলিস। তাঁকে গ্রেফতার করা হয় পঞ্জাবে।
আরও পড়ুন- স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলনের পাশে আছি, আইন নিজের হাতে তুলবেন না: মুখ্যমন্ত্রী